১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

দেশের একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যত বড় দুর্যোগই আসুক, বর্তমান সরকার তা মোকাবেলার ক্ষমতা অর্জন করেছে। তাই দেশের কোন মানুষই না খেয়ে কষ্ট পাবে না।
তিনি বলেন, আগামী বোরো ফসল পর্যন্ত আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে বোরো ফসলের সমস্ত কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করবে সরকার।
হাওরে ফসলহানির পর রোববার সকালে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা শাহিদ আলী স্কুল মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরের ফসল যাতে আর নষ্ট হতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতেই দ্রুত বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে কাজ শুরু করবে সরকার। দ্রুত নদী এবং ভরাট হয়ে যাওয়া খাল বিল খননের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, একটি এলাকার ফসল নষ্ট হলেও  খাদ্যে ঘাটতি হবে না। সাহস নিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে । বর্তমান সরকার সব সময় এ অঞ্চলের মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, আপনারা নিশ্চিত থাকবেন দুর্নীতি প্রমাণ হলে কেউই রেহাই পাবে না। শাস্তি পেতেই হবে। আগামী বছর কিভাবে বাঁধ নির্মাণ হবে, কখন করতে হবে এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে যাতে করে সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য চলমান ওএমএস এর কেন্দ্র ইউনিয়ন পর্যায়ে নেয়ার জন্য খাদ্য মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, দুর্যোগের সময় যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নিতে হয় তা জানা আছে। সুতরাং কেউ মজুদদারি করে দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়ে পার পাবেন না।
পরে প্রধানমন্ত্রী ২০ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩৮ কেজি চাল ও ১০০০ টাকা করে ত্রাণ দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ত্রাণ বিতরন শেষে প্রধানমন্ত্রী যাত্রাপুর গ্রামে গিয়ে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।