১৭ জুন, ২০২৫ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২০ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন

দেশবিদেশের ক্বারীদের কণ্ঠে মাতলো সমুদ্র শহর

বিশেষ প্রতিবেদকঃ সমুদ্র শহর কক্সবাজারে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন। সোমবার (২৯ জানুয়ারী) কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মিলনমেলা ঘটে বাংলাদেশসহ বিশ্বসেরা ক্বারীদের। সম্মেলন আলোকিত করেন মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসার গ্র্যান্ড ইমাম ও খতীব শাইখ ড. ইক্বরমা সাঈদ আব্দুল্লাহ সবরী। তিনি এশার নামাজের আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নসিহতমূলক বক্তব্য রাখেন। ক্বিরাত সম্মেলনে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা ২০ জনের অধিক ক্বারী অংশ গ্রহণ করেন। বিকাল ৩টা থেকে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগেই অনুষ্ঠান স্থলে ভীড় করে কুরআন প্রেমিকরা। তবে, বিদেশী ক্বারীদের তিলাওয়াত করতে মঞ্চে উঠেন এশা নামাজের পর। একটানা তিলাওয়াত চলে রাত প্রায় ১২ টা পর্যন্ত।
ক্বারীদের গগণবিদারী কণ্ঠে বেজে উঠে মহান ঐশি গ্রন্থ আল কুরআনের সুর। সেই সুরের মূর্চনা ছড়িয়ে যায় সবখানে। মাতিয়ে তুলে সমুদ্র শহর কক্সবাজার। কুরআনের সুমধুর কণ্ঠে উদ্বেলিত হয় মু’মিন হৃদয়। পথহারা পথিক দিশা পায় নতুন পথের। সব মিলিয়ে ক্বিরাত সম্মেলন যেন এক টুকরো জান্নাত। সম্মেলন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থার (ইক্বরা)।
হৃদয় ছোয়া কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করেন বর্তমান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট ক্বারী মিসরের ড. শাইখ আহমাদ আহমাদ নাঈনা, বাংলাদেশের গৌরব বিশ্বখ্যাত ক্বারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী, মিসরের খ্যাতনামা ক্বারী শাইখ মুহাম্মাদ মুহাম্মাদ মুরীজী, ইরানের ক্বারী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ জাওয়াদ হুসাইনী, আরবের প্রখ্যাত সুরকার ও সিরিয়ার ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী মুনশিদ ক্বারী মু’তাসিম বিল্লাহ আল আসালী, আলজেরিয়ার ক্বারী শাইখ রিয়াদ আল জাযায়েরী, ভারতের ক্বারী মুহাম্মদ তাইয়্যিব জামাল।

দীর্ঘক্ষণ কুরআন তেলাওয়াতে শ্রুতাদের মাঝে সামান্যতমও ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেনি। শুধু পুরুষ নয়, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের পেভিলিয়নে মহিলাদের জন্য মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত শুবণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেও প্রচুর দ্বীনদার মহিলা কুরআন শুনেছে। পুরো সম্মেলন ঘিরে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব নিরাপত্ত্বা বলয় তৈরী ছিল। কোথাও বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

রাত ১০ টায় মঞ্চে উঠেন মসজিদুল আকসার গ্র্যান্ড ইমাম ও খতীব শাইখ ড. ইক্বরমা সাঈদ আব্দুল্লাহ সবরী। তিনি বলেন, মসজিদুল আকসা মুসলমানদের প্রাণের সম্পদ। এটিকে রক্ষা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমি জানি, আমেরিকার অন্যায় আচরণে বাংলাদেশের মুসলমান ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, মুসলিম জাতি এক অঙ্গের ন্যায়। আমেরিকার অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাবেন। মসজিদে আকসা ইহুদিদের ছাড় দেয়া হবেনা। শক্তভাবে তাদের প্রতিহত করা হবে।

আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থার (ইক্বরা) এবারের ক্বিরাত সম্মেলন আয়োজন করে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল তানযিমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা। বাদে যুহর একই দিন হুসনে ক্বিরাত প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন হিফজ প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়সহ সেরা ১০ জনকে দেয়া হয় নগদ অর্থ ও আকর্ষণীয় পুরস্কার। এই প্রতিযোগিতার স্পন্সর ছিলেন কক্সবাজারের প্রবীন ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ফজল আহমদ কোম্পানী। পিতার পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সুযোগ্য সন্তান আমিনুল ইসলাম হাসান। সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ভাইসচেয়ারম্যান ডক্টর মীম আতিকুল্লাহ। ক্বিরাত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রইস উদ্দিন ইসলাহী। পুরো সম্মেলন সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ক্বিরাত সম্মেলনের আহবায়ক হাফেয রিয়াদ হায়দার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।