২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৯ পৌষ, ১৪৩২ | ৩ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

ড্রেন করার নামে শত বছরেরপুরনো গাছটি কেটে ফেলেছে চকরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ!


কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা গ্রাম। শতবছর থেকে যে গাছটির নামে ফুলতলা নামকরণ করা হয়েছিল সেই গাছ এখন আর নেই। সেখানে ফুলতলা নামক কোন স্মৃতি চিহৃ নেই। ড্রেন করার নামে চকরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ ছায়াঘেরা শত বছরের পুরনো ফুল গাছটি কেটে ফেলেছে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।স্থানীয় লোকজন জানান, চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকায় ব্র্রিটিশ আমলে রোপণ করা সেই ফুলগাছটি ড্রেন করার নামে গত এক সপ্তাহ পূর্বে পৌরসভার লোকজন কেটে ফেলেছে। কিন্তু বিগত সময়ে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ডের সময় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করলেও গাছটি কাটেনি।এলাকাবাসীরা ফুলগাছটি কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গাছটি কেটে ফেলেছে। এতে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়িরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।পরিবেশবাদী সাংবাদিক এমআর মাহমুদ বলেন, বিশাল আকৃতির ফুলগাছ থাকায় ওই স্থানের নাম ফুলতলা রাখা হয়। এই নামটি বিভিন্ন স্থানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ, এই এলাকাকে ফুলতলা হিসাবে পরিচিত লাভ করে। ফুলগাছটি শতবছর ধরে তার ঐতিহ্য ধারণ করে আসছে। এলাকাবাসী তাদের বিশ্রামে, সৌন্দর্য্য বর্ধনে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে ফুলগাছের ছায়া। বিভিন্ন প্রতিকূলতা রক্ষা ও সব সময় মানুষ ফুল গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করত। তিনি আরও বলেন, বিগত ১০বছর পূর্বে এই ফুলগাছ কাটার কারণে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সহ একাধিক মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো। কালের স্বাক্ষী ফুলগাছটি কেটে স্মৃতি চিহৃ মুচে ফেলা হয়েছে। এই রকম গাছ সব সময় স্বাক্ষী হয় না ইতিহাসে। বিশাল আকৃতির ফুল গাছটি মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে।চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতিশওকত হোসেন বলেন, শতবর্ষী ফুলগাছটি না কাটার জন্য অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে গাছটি কেটে ফেলতে হয়েছে। নাকাটলে দুটি দোকান ভেঙ্গে ফেলা হতো। সেখানে ড্রেন করার জন্য ইতোমধ্যে পৌরসভা কাজ শুরু করেছেন। গাছটি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করাহয়েছে। ওইসব টাকা ফুলতলা জামে মসজিদের উন্নয়নের কাজে ব্যয়ের কথা তিনি জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।