২০ জুন, ২০২৫ | ৬ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২৩ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ

টেকনাফে বাউ ড্রাগন ফল চাষে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ক্যাম্পেইন


টেকনাফে পুষ্টির অভাব পূরণ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় অবদান রাখার লক্ষ্যে বাউ ড্রাগন ফল চাষে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ক্যাম্পেন শুরু করেছে এনজিও সংস্থা কোডেক ও ক্রেল।
সরেজমিনে ১৮ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফের হ্নীলা বাসষ্টেশনে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্ এ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল) প্রকল্প কক্সবাজারের টেকনাফে প্রতিবেশ ও রক্ষিত এলাকা সংরক্ষণ,প্রাকৃতিক সম্পদ,জীব বৈচিত্র্যে ও উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন, বহুমূখী ও জলবায়ু সহিঞ্চু জীবিকায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ নির্ভরশীল দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কোডেক-ক্রেল প্রকল্প প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে জলবায়ুর ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির আথ-সামাজিক  উন্নয়নে  জলবায়ু সহিষ্ণু পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই বিকল্প জীবিকায়নের লক্ষ্যে বন নির্ভরশীল জনগনের মধ্যে চাষের প্রসার ঘটানোর জন্য টেকনাফ বণ্যপ্রানী অভয়ারণ্য টেকনাফ সাইটের হ্নীালা বাজারে ড্রাগন ফলের ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। ড্রাগন ফলের চারা বিক্রির বিশেষ ক্যাম্পেনইন চলাকালে উপস্থিত ছিলেন কোডেক ক্রেল প্রকল্পের কক্সবাজার রিজিয়নের অফিসের লাইভলিহুড অফিসার মাহবুব উদ্দিন,টেকনাফ সাইটের লাইভলিহুড ফেসিলিটেটর মোঃ জমির উদ্দিন,হ্নীলা ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন,প্রশাসন ও হিসাব সহকারী মুহাম্মদ টিপু সুলতান,ফিল্ড অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া,ভিসিএফ ও উপকারভোগী,ক্রেতা এবং দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে ক্রেতাগন উ্ৎসাহিত হয়ে ড্রাগন ফলের কাটিং প্রতিটি ২০টাকা মূল্যে ৭শ টাকার ৩৫টি চারা কিনে নিয়ে যায়।
সুত্র জানায় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে প্রবর্তনকৃত এই ফলটির উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকা। দক্ষিণ এশিয়া তথা মালয়েশিয়াতে এই ফলটির প্রবর্তন করা হয় বিংশ শতাব্দীতে। ভিয়েতনামে এই ফলটির সর্বাধিক বাণিজ্যিক চাষ করা হয়। বর্তমানে মেক্সিকো,সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ আমেরিকা,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,দক্ষিণ চীন,ইসরাইল,থাইল্যান্ড,মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ায় চাষাবাদে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশী ফলগুলোর মধ্যে ড্রাগন ফলের চাষ সম্ভাবনাময় হওয়ায় অনেকে ড্রাগন ফল বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদের চিন্তা ভাবনা করছে। গবেষকরা অচিরেই এই ফলটি এদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা সম্ভব হবে বলে মনে করায় ২০০৭সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাউ-জার্ম প্লাজম সেন্টার প্রবর্তন করেন। থাইল্যান্ড,ফ্লোরিডা,মালয়েশিয়া,শ্রীলংকা,ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের জাত সংগ্রহ করে বংশবিস্তারের মাধ্যমে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। চাষীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টার সারা বছর চারা সরবরাহ করে থাকে। এদিকে টেকনাফে বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং শারীরিক পুষ্টি সরবরাহ করে পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে কোডেক এবং ক্রেল প্রজেক্ট উপজেলার ২২জনকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে ড্রাগন ফলের চাষ করছেন। এই চাষাবাদ সর্বস্তরের মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যেই উপজেলার টেকনাফ,শীলখালী,হোয়াইক্যং ও হ্নীলা বাজারে বিশেষ ক্যাম্পেইন করে প্রচারনা চালানো হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।