১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

টেকনাফে আমনের সোনালী ফসল কাটার উৎসব চলছে

হুমায়ূন রশিদ,(টেকনাফ): টেকনাফে চলতি মৌসুমে ১০হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদকৃত আমন মৌসুমের সোনালী ফসল কাটা চলছে। ২৮হাজার ৩শ ২মেট্রিকটন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশায় কৃষকদের মুখে তুষ্টির হাসি দেখা যাচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,চলতি বছর উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে ৬হাজার ৩শ ৪৫ হেক্টর, হ্নীলায় ১হাজার ২শ ৬৫ হেক্টর, টেকনাফ সদরে ১হাজার ১শ ৯০ হেক্টর, সাবরাংয়ে ৮শ ৭০ হেক্টর, বাহার ছড়ায় ১হাজার ৯০ হেক্টর, সেন্টমার্টিনে ৯০ হেক্টর জমিতে আমনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধানের চাষাবাদ করা হয়। ব্রিধান-৩৩, ৩২, ব্রিধান-৪০, ৪১, ব্রিধান-৪৯, বিনা-৭, স্থানীয় জাত লেম্বু বিন্নি, লাল পাইজাম ও কালা পাইজামের চাষ। তবে ব্রি-৩৩ ও হাইব্রীড জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ ছিল বেশী। চলতি বছর ব্রিধান- ৩৩ ও ৪৯ প্রজাতির ধানের সর্বোচ্চ বেশী ফলন হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসের সুষ্ঠু তদারকি, পর্যাপ্ত সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে পারার কারণে এইবারে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকেরা জানায়।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কৃষক হারুন অর রশিদ সিকদার বলেন, চলতি বছর প্রায় ৬ একর জমিতে তিনি ধানের চাষাবাদ করেছেন। ভারত পায়জামের ভাল ফলন হয়েছে তবে পাশ্ববর্তী কৃষকদের বি-১১ ধানের চাষ পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হ্নীলা ইউনিয়নের কৃষক খলিল আহমদ ও মোজাফ্ফর আহমদ যথাক্রমে ৩৬ ও ২৭কানি জমিতে চাষাবাদ করেছেন। খলিল আহমদের চাষের ৫/৬কানি জোয়ার-ভাটা এবং বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে অবশিষ্ট চাষে ভাল ফলন হয়েছে। রঙ্গিখালী এলাকার হোছাইন আহমদ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ছাড়া অপর জমিতে ভাল ফলন হয়েছে বলে দাবী করেন। টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের কৃষক মীর কাশেম, হাজী আমির হোছন খোরাকের জন্য ১২/১৪ কানি করে চাষাবাদ করেছেন। ইনশল্লাহ সবচেয়ে বেশী ভাল ফসল হয়েছে। বাহারছড়ার কৃষক রাহমত উল্লাহ, আব্দুল আউয়াল ও নুরুল আলম বলেন, এই বছর খোরাকের জন্য ভারত পায়জাম ধানের চাষ করে আল্লাহর রহমতে খুব ভাল ফলন পেয়েছে। সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়ার কৃষক মৃত আমির হামজার পুত্র আব্দুর রহমান জানান,চলতি বছর ১০ কানি জমি চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিকানি ১শ আরি ধান পাইছি আর চলতি বছর ১শ ১০ হতে ১শ ২০ আরি পর্যন্ত পাওয়ার আশা রাখি। এছাড়া মৃত ফয়েজুর রহমান মেম্বারের পুত্র ফরিদ আহমদ, মৃত নুর আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান খোরাকের জন্য ১৫কানি করে ধান চাষ করেছেন। তাতে গতবারের চেয়ে ভাল ফসল হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ,এই দ্বীপে যা ধান চাষ হয়েছে তাতেই ভাল ফলন হয়েছে বলে জানান।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান,মাঠ পর্যায়ে তদারকি জোরদার, বীজ,সার সহজলভ্যকরণ এবং পোকা-মাকড় ও রোগ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করে তোলায় ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।