১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

টেকনাফে অর্ধশতাধিক ট্রলারে ডাকাতি

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের টেকনাফের অর্ধশতাধিক মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জলদস্যু বাহিনী জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূলে ২৫টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এর আগে শনি ও রোববার আরও ২৭টি ট্রলারে ডাকাতি হয় বলে জেলেরা জানিয়েছেন।

ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মালিকদের মাঝে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছেন তারা হলেন, মো. কাশেম, এমদাদ উল্লাহ মাঝি, জাহেদ উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, মো. বাবুল, মো. হাসান, মো. জাফর, মো. সিরাজ, মো. মিজান। তারা টেকনাফের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সদরের বাসিন্দা।

সোমবার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ মৎস্যজীবী অগ্রণী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, সেন্টমার্টিন উপকূলে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ২৫টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের জাল ফেলে জেলেরা অপেক্ষা করছিল। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ২০-২৫ জনের জলদস্যু বাহিনী ট্রলারে হামলা করে। এসময় জেলেদের মারধর করে জাল ও মাছ লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় কেস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

এফবি এমদাদ উল্লাহ বোটের মাঝি শামসুল আলম বলেন, শুক্রবার ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে প্রতিদিনের মতো বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাই। সর্বশেষ সোমবার সকালে মাছ ধরতে সাগরে জাল ফেলি। এরপর হঠাৎ করে দুইটি বড় ট্রলার এসে অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘিরে ফেলে। পরে ট্রলারে উঠে মারধর করে মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে যায়। তার মতো অনেক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে।

সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ২৫টির মতো ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এর আগে আরও অনেক ট্রলার ডাকাত দলের খপ্পরে পরে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

ডাকাতির শিকার বোট মালিক মো. কাশেম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া তার ট্রলারটিতে সোমবার ভোরে ডাকাতি হয়। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডাকাতের ভয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছে না।

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির খবর শুনেছি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।