বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ইসলামের কথা বলে জামায়াতে ইসলামী বারবার দেশ ধংসের পাঁয়তারা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। ২০১৩ সালে এ দলটি এদেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, ১৬ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। এ সন্ত্রাসী দল এবং এদের দোসরদের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মহামাবেশ প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, পুলিশ-জনতা একসাথে কাজ না করলে সমাজের সমস্যার দূর হবে না। সমাজের মানুষের শান্তির জন্য প্রয়োজন নাগরিক এবং পুলিশের পারস্পরিক আস্থার। আর এক্ষেত্রে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে কমিউনিটি পুলিশ। পুলিশের উপর জনগণকে ভরসা রাখতে হবে এবং পুলিশ তার যথাযথ ভূমিকা রাখলে সমাজে শৃংখলা বিরাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ দূর করতে অভিভাবকের উচিৎ ছোটবেলা থেকেই তাদের সন্তানকে এসব বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা। দেশের গৌরবময় ইতিহাস শোনানো। তাহলেই সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুস্থ প্রজন্ম তৈরী হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল। তারা বারবার চেয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে নস্যাত করতে। সন্ত্রাস করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। দেশের নয় কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র বিগত সময়ে সীতাকুন্ড ও মিরসরাইতে হরতাল অবরোধের নামে শত শত গাড়ি পুড়িয়েছে, পেট্রোল মেরে হত্যা করেছে সাধারণ মানুষকে, তাদের থেকে রেহাই পায়নি গরুর গাড়িও।
পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে পুলিশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। আর কোনো বাহিনীর দরকার হয়নি। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ক্ষেত্রে পুলিশের একার ভূমিকাই প্রশংসনীয়।
মিরসরাইয়ের সম্ভাবনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ উপজেলাটি হলো ব্যাংক অব ব্যাংক। এখানে হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ স্পেশাল ইকোনোমিক জোন, যাতে কাজ করবে ৫ লক্ষাধিক মানুষ।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সুপার নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে উক্ত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মো: ইকবাল বাহার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: সামছুল আরেফিন, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন আহমেদ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জোরারগঞ্জ থানা কমিউনিটিং পুুলিশের সভাপতি আলহাজ্ব জহির উদ্দিন ইরান, সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
সমাবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানার ওসি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ কমিউনিটি পুলিশের প্রায় ২০ হাজার সদস্য উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ২টায় মধ্যহ্নভোজের মাধ্যমে শেষ হয় মহাসমাবেশটি।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।