৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

চায়ের দোকানদার ফোরকানের পকেটে মিললো ১০০০ ইয়াবা!

ইমাম খাইর, কক্সবাজার:

কক্সবাজার সদর ঝিলংজার খাদ্য গুদাম এলাকার চায়ের দোকানদার ফোরকান আহমদ (৩৫) এর কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাজী আশরাফ আলী ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে তাকে ইয়াবাসহ আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ।

তিনি ঝিলংজা ২ নং ওয়ার্ড হাজীপাড়া এলাকার গ্রামের মোঃ গুরা মিয়ার ছেলে।

এক ঘটনায় সদর মডেল থানার এসআই কাঞ্চন দাশ বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩০।

মামলায় আদালতের মাধ্যমে বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খবর নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার মাসুম খান।

তিনি জানান, হাজী আশরাফ আলী ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে ইয়াবা বিক্রির জন্য অবস্থান করছে ফোরকান আহমদ। এই সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কৌশলে পালানোর সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় ফোরকানের থ্রি কোয়ার্টার প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থা থেকে ১ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।

এদিকে, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা খাদ্য গুদামের সামনে একটি চায়ের দোকানের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ খুলতে সাহস পায়নি এতদিন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, খাদ্য গুদামের পরিত্যক্ত ভবন, উপজেলা কম্পাউন্ডের ভিতরের পরিত্যক্ত ভবন, পানবাজার কেন্দ্রিক শক্তিশালী একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। যেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও অভিজাত পরিবারের কয়েকজনের। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, ইমরান, ফয়সাল, রবি, হারুন, বাবু, আব্বাস, বান্ডাইয়া, বার্মাইয়া আবদুর রহিম নামের কয়েকজন সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। যাদের প্রত্যেকের নামে ৩ থেকে ৭টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। এসব অপরাধীদের চায়ের দোকানের আড়ালে ব্যবহার করে ফোরকান। তার মূল আশ্রয়দাতা ছোট ভাই আবদুল্লাহ।

এই উঠতি সিন্ডিকেটটি ভেঙ্গে দিতে না পারলে হাজীপাড়াসহ আশপাশে ইয়াবার বিস্তার ঘটবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

তবে, প্রথমবারের মতো ইয়াবা সিন্ডকেটে হানা দেয়ায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে এলাকাবাসী। মাদক নির্মূূলে তারা প্রশাসনকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।