২২ আগস্ট, ২০২৫ | ৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৭ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চকরিয়ায় সড়ক বিভাগের কোটি টাকার জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ

ckari

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পুরাতন বাসষ্টেশন সওজ’র অধিগ্রহণকৃত কোটি টাকার জমি দখল করে বহুতল ভবন (মার্কেট) নির্মাণ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। গত ২১ এপ্রিল সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চারদিনের মাথায় ফের এ নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় সুত্র জানায়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গাস্থ পুরাতন বাস স্টেশনের পাশে সাবেক এবিপি হোটেলের আশপাশের এলাকাটি কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তি।
গত মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল সকালে হঠাৎ করে চকরিয়া পৌর শহরের পুরাতন বাসষ্টেশনে সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ওই জায়গাটি জবরদখলে নিয়ে পৌরসভার কাহারিয়াঘোনার মরহুম মোস্তাক আহমদ খলিফার ছেলে মঈন উদ্দিন, নাজেম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রভাবশালী একটি চক্র বহুতল ভবন (মার্কেট) নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযান চালিয়ে দখলবাজদের কবল থেকে তাদের জায়গাটি দখল উচ্ছেদ করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, কাহারিয়াঘোনার মোস্তাক আহমদ খলিফার ছেলে নাজেম উদ্দিন গং সড়ক বিভাগের ওই জায়গার ভেতরের অংশে জনতা মার্কেট এলাকার মরহুম মোজাহের আহমদ কোম্পানীর কাছ থেকে ৬ শতক জায়গা ক্রয় করেন অনেক বছর আগে। ক্রয়কৃত জায়গায় এবিপি হোটেলসহ কয়েকটি দোকান থাকলেও বর্তমানে এসব স্থাপনা ভেঙ্গে তাঁরা নতুন করে একটি মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ সুযোগে তাদের জায়গার সামনের অংশের সড়ক বিভাগের জায়গাটি জবরদখলে নেন প্রকাশ্য দিবালোকে। ব্যবধানে অভিযুক্ত প্রভাবশালী মহলটি প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে শনিবার থেকে ফের সেখানে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, নির্মাণ কাজ নিবিঘœ করতে চকরিয়া সড়ক বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে প্রভাবশালী মহলটি টাকার বিনিময়ে সওজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করা হয়েছে। পৌরশহরে সরকারী কোটি টাকা মুল্যের জায়গা জবরদখলের ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপ-বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, ২১ এপ্রিল উচ্ছেদ অভিযানের পর অভিযুক্ত নাজেম উদ্দিন গংকে সড়ক বিভাগের জায়গায় কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ নোটিশের পরও জড়িতরা সড়ক বিভাগের জায়গায় ফের স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে। কয়েকদিনের মধ্যে পরিমাপ করে সেখানে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে খুটি পুঁেত দেওয়া হবে। এরপরও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখলে সেখানে আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।