২২ আগস্ট, ২০২৫ | ৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৭ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চকরিয়ায় মামলার প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে চাজসিট দাখিলের অভিযোগ বাদির!


চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোহাম্মদ ইউনুছের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন রোকসানা বেগম নামের এক নারী। তার বসতভিটার জায়গা দখলে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে চকরিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলার তদন্তকালে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আসামি পক্ষের সাথে যোগসাজস করে মামলার প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদি রোকসানা।
মামলার আর্জিতে বাদি চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা গ্রামের রফিউল কাদেরের স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, তাঁর বসতভিটার জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল আড়াইটার দিকে দলবল নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় মৃত সামসুল হক সিকদারের ছেলে আলমগীরসহ সহযোগিরা। ওইসময় বাড়িতে ঢুকে তাঁরা ব্যাপক ভাংচুর করে বাদিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করেন। এসময় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পায়ের আঙ্গুল কেটে যায়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪-৫জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে একটি মামলা (৫৬) দায়ের করেন।
মামলার বাদি রোকসানা বেগম জানান, মামলাটি রুজু করার পর থানার ওসি তদন্তের দায়িত্ব দেন মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোহাম্মদ ইউনুছকে। তদন্তকালে কালে মামলার আইও পুলিশের ওই কর্মকর্তা অনিয়মের আশ্রয় নেন। তিনি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে বেশ কিছু টাকাও দেন যাতে মামলাটি সঠিক তদন্ত করেন।
বাদি রোকসানা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাঁর চেয়ে আসামি পক্ষের লোকজন বেশি টাকা দেয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা কৌশলে তাকে অবগত না করে কৌশলে মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র (চাজসিট) দাখিল করেছেন। পরে তিনি আদালতে খোঁজ নিয়ে ওই আসামিকে বাদ দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় আদালতে নারাজি আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি রোকসানা বেগম।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।