২১ আগস্ট, ২০২৫ | ৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৬ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চকরিয়ায় ছোটভাইয়ের মামলায় জেলহাজতে বড়ভাই ও দুইছেলে

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমিনের পাকা ধান কেটে লুটের ঘটনায় ছোট ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আপন বড়ভাই ও তাঁর দুই ছেলেকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মামলার এক নম্বর বিবাদি বদরখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছালেহ আহমদ সিকদার ও তাঁর দুই ছেলে হোছাইন মোহাম্মদ কাইফু এবং জাহাংগীর আলমকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কৌশলী মো.লুৎফুল কবির।
মামলার বাদি বদরখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও এক নম্বর বিবাদি ছালেহ আহমদ সিকদার সর্ম্পকে আপন সহোদর। তাদের বাড়ি ইউনিয়নের মাতারবাড়ি পাড়া গ্রামে। তাঁরা ওই গ্রামের মরহুম ছদর আহমদ সিকদারের ছেলে।
বাদি পক্ষের কৌশলী এডভোকেট মো.লুৎফুল কবির বলেন, ২০১০ সালে ফরিয়াদি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জমিনের পাকা ধান কেটে লুটে নিয়ে যায় বড়ভাই ছালেহ আহমদ সিকদারসহ তার লোকজন। এ ঘটনায় জমি মালিক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাদি হয়ে বড়ভাই ছালেহ আহমদ সিকদার ও তাঁর দুই ছেলেসহ সহযোগিদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা (জিআর ৩৩৬/১০) দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা স্বপক্ষে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদনও দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
তিনি বলেন, ওই মামলায় এক নম্বর বিবাদি ছালেহ আহমদ সিকদার ও তাঁর দুই ছেলে হোছাইন মোহাম্মদ কাইফু এবং জাহাংগীর আলম গতকাল বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। ওইসময় আদালতের বিচারক মামলার শুনানী শেষে আসামি বাবা ও দুই ছেলের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছালেহ আহমদ সিকদার পরিবারের ভাই-বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তি লুটের পাশাপাশি এলাকার দুর্বল প্রকৃতির মানুষের জায়গা-জমি জোরপুর্বক দখলে নিতে সিদ্ধহস্ত। ভুমিদুস্যতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও হামলা-লুট এবং ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত ছালেহ আহমদ সিকদার পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়া মৌজার কয়েকটি চিংড়ি প্রকল্পের ভুঁয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে পাঁচ কোটি হাতিয়ে নিয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।