৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ২০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

চকরিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা


চকরিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ ও তার ছোটভাই গোপাল দাশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় পিএম জুয়েলার্সের মালিক অনিমেষ রঞ্জন দে। আদালতের বিচারক বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আর্জিতে বাদি অনিমেষ রঞ্জন দে দাবি করেন, চকরিয়া পৌরসদরের হক সুপার মার্কেটে পিএম জুয়ের্লাস নামে তার একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। সেখানে তিনি নিয়মিত ব্যবসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। কয়েক মাস ধরে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেবে না বলে হুমকি ধমকিও দিতেন। অনুরুপভাবে গত ২০ফেব্রুয়ারী বিকালে বাদি অনিমেষ দে দোকানে বসা অবস্থায় সেখানে এসে লক্ষণ দাশ সহ ২-৩জন সহযোগি ফের চাঁদা দাবি করেন। ওইসময় তাকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন অনিমেষ।
ইউপি সদস্য অনিমেষ রঞ্জন দে জানান, হুমকি দেয়ার পর সর্বশেষ গত ২৮ ফ্রেবুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি চিরিঙ্গা কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরের সামনে গেলে অর্তকিতভাবে অভিযুক্তরা সহযোগি নিয়ে তার গতিরোধ করে আবারো চাঁদা দাবি করে। এসময় অর্তকিতভাবে তারা কাটা বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন অনিমেষ।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তার কাছে থাকা প্রায় ৫০হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন একটি স্বর্ণের চেইন লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে চকরিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অনিমেষ দে বলেন, অভিযুক্ত বিবাদি লক্ষণ দাশের বিরুদ্ধে ইতোপুর্বে চকরিয়া থানা ও আদালতে ভাঙচুর, লুটপাট ও চাদাবাজির অভিযোগে আরও ৪টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী অনিমেষ রঞ্জন দে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।