১২ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক

চকরিয়ায় মামার নানামুখী প্রতারনায় দিশেহারা প্রবাসি ভাগিনার পরিবার, স্টোকে মায়ের মৃত্যু!

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে মামা আবু ছৈয়দের নানামুখী প্রতারনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রবাসী ভাগিনা মাহাববু আলম বাবুলের পরিবার। ব্যবসার লোভ দেখিয়ে প্রবাসী ছেলের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে সামাজিকভাবে প্রতিষ্টিত হলেও পরে টাকা নেয়ার ঘটনাটি অস্বীকার করার ঘটনায় স্টোক করে মারা গেছে বাবুলের মা। অভিযুক্ত মামা আবু ছৈয়দ ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামে আবুলু বর গোষ্টির মৃত মোহাম্মদ বকসুর ছেলে। ভূক্তভোগি মাহবুব আলম বাবুল রামপুর এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। ভুক্তভোগী বাবুল অভিযোগ করে বলেন, আমার মামা আবু ছৈয়দ আতœীয়তার সুযোগ নিয়ে আমাদের পরিবারের সাথে প্রতারণা করে টাকা নিয়ে নিঃস্ব করে ফেলেছে। এ ঘটনার পর থেকে আমার পরিবারে শুরু হয়েছে ভাইদের মধ্যে বিরোধ আর পারিবারিক অশান্তি।
ভুক্তভোগী মাহাবুব আলম বাবুল চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে জানান, অনেক কষ্টে বিদেশ গিয়েছিলাম আমরা দুইভাই। অনেকবছর অন্যের দোকানে কাজ করার পর আমি ও আমার বড় ভাই প্রবাসে (দুবাই) ব্যবসা করে আসছি। আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হওয়ায় আমাদের পরিবারের ওপর অন্যরকম দৃষ্টি পড়ে কৌশলী মামা আবু ছৈয়দের। ২০১১ সালে চিংড়ি প্রজেক্টের ব্যবসার কথা বলে বেশী লাভের লোভ দেখিয়ে মামা আবু ছৈয়দ আমার কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে তার ছেলে (আমার মামাতো ভাই ইব্রাহিমকে) দুবাইতে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য মামা ছৈয়দের কথায় ২ দুই লাখ টাকা দিই। টাকা দেয়ার এক বছর পর ২০১২ সালে মামা ছৈয়দের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলে তোর সাথে আমার কিসের ব্যবসা, আমাকে কিসের টাকা দিয়েছো, তোমার কিসের চিংড়ি প্রজেক্ট।
ভুক্তভোগী মাহাবুব আলম বাবুল জানান, মুলত এরপর থেকে শুরু হয় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের চক্রান্ত। আমার কাছ থেকে নেয়া সাড়ে ৭লাখ টাকার জন্য পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে অনেকবার শালিসী বৈঠক হয়েছে। বিচার হলেও ক্ষমতার জোরে টাকা ফেরত দেয়নি অভিযুক্ত ব্যক্তি। উল্টো আমার টাকা নেয়ার পর মামা ও মামাতো ভাই আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হলে তাদের দাপট অনেক বেড়ে যায। আমাকে বাবা ছেলে মিলে টাকা না দেওয়ার পাশাপশি হুমকি প্রদর্শন করতে শুরু করে। আমার প্রতারক মামা আবু ছৈয়দের নির্মম নিষ্ঠুর আচরনের কারনে শেষ পযন্ত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আমার মা ষ্টোক করে মারা যায়। অন্যদিকে ওই টাকার জন্য আমার বড় ভাই আমাকে ভূল বুঝতে শুরু করে। ভেঙ্গে পারিবারিক বন্ধন। শুরু হয় একান্নবর্তী সংসারে অশান্তি। আমার পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। কিন্তু প্রতারক মামা আবু ছৈয়দ হয় আলোকিত।
অভিযোগে ভুক্তভোগী বাবুল আর ও জানান, টাকা নেয়ার দীর্ঘ ৬ বছর পর প্রতারক মামা আবু ছৈয়দ শেষ পর্যন্ত সত্যের কাছে হার মানে। সাহারবিল ইউনিয়নে সদ্য অনুষ্টিত নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের সহযোগিতায় অবশেষে টাকা গুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে কিস্তি কিস্তিতে মোট ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। অবশিষ্ট বাকী রয়েছে আরো ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু মামা আবু ছৈয়দ সময় দিয়েও বারবার টাকা গুলো দিচ্ছেনা।
টাকা গুলো কিভাবে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী বাবুল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের এর সাথে কথা বলে দুবাইয়ের কফিল (আরবী) চাপ প্রয়োগ করে ছেলে ইব্রাহিমকে। ইব্রাহিম সেখান থেকে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন তার বাবা আবু ছৈয়দকে। বাবুলের দাবি, যেই টাকার জন্য আমার মা স্টোক করে মারা গেছে, পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেই টাকা আমি মসজিদে দান করবো আর মায়ের ইছালে সওয়াব মাহফিলের জন্য ব্যয় করবো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।