২০ অক্টোবর, ২০২৫ | ৪ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৭ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

গ্রেফতারের আগে সাহেদ মহেশখালিতেও পালিয়ে ছিলেন

প্রতারক সাহেদ ধরা পড়ার আগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে পালিয়ে ছিলেন বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। এর পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকেন।

রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

পরে সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় র‍্যাব দফতরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সাহেদ পালিয়ে কোথায় কোথায় ছিলেন তা জানায়।

সাহেদ জানায়, গত ৬ জুলাই যখন রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে তখন কক্সবাজারের মহেশখালিতে ছিলেন তিনি। স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় সেখানে একটি সাইক্লোন সেন্টারে ছিলেন। পরে সেখান থেকে চলে আসেন কুমিল্লার মীরা বাজারে। কুমিল্লা থাকাখালীন র‍্যাবের গ্রেফতার অভিযানের খুব কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু র‍্যাব গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়। এরপর ১২ জুলাই ঢাকার গুলশানে আসেন সাহেদ। নিরাপদ মনে না করায় চলে যান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখানে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এরমধ্যেই গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ে আজ ভোরে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হন তিনি।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহেদ অনেকটা নির্ভার দেখা গেছে। এসময় তিনি বেশ কয়েকবার দম্ভোক্তি দেখান বলে জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। সাহেদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সাহেদকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না। তিনি সবকিছু আইনিভাবে মোকাবেলা করে খুব দ্রুতই জনসম্মুখে আসবেন বলে দম্ভোক্তি করে। এসময় যারা তাকে মদদ দিয়েছে এবং ধরিয়ে দিয়েছে তাদের দেখে নেবেন বলেও জানান সাহেদ।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ যেসব সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীরা তার ছবি তুলছে এবং সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরও দেখে নেবার হুমকি দেন বলে জানায় র‍্যাব।

যমুনা

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।