
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশজুড়ে আনন্দের পাশাপাশি এই স্রোত ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামের চায়ের দোকান গুলোর টিভির পর্দায় প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে এক পলক দেখতে ভীড় করতে দেখা গেছে।
তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সাথে সাথে গ্রাম গঞ্জের চায়ের দোকানে গুলোতে ভীড় বাড়তে দেখা যায়। আবার কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল সহ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে গ্রাম গঞ্জে বড় পর্দায় তারেক রহমানকে দেখার জন্য আয়োজন করতে দেখা গেছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি তথা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এর বড় ডেবা এলাকায় হাজারো মানুষ বড় পর্দায় তারেক রহমানকে দেখতেছেন এবং তাঁর কথা শুনতেছেন। খুনিয়ারাপালং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এই বড় পর্দার আয়োজন করেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় খুনিয়ারাপালং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,সাধ্য থাকার পরও এলাকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে ঢাকায় যায়নি। কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাহ আসনের সাবেক সাংসদ, আগামী অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজলের পক্ষ থেকে বড় পর্দার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আগামী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী (ধানের শীর্ষে) ভোট দেয়ার আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ মরিচ্যা এলাকায় এক চায়ের দোকানে বসে থাকা আলী হোসেন বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা সময়ের দাবি ছিল। আমরা চাই ওনার আগামী পদক্ষেপগুলোও এমন সময়োপযোগী হোক। তিনি টিভির পর্দায় তাকে এক পলক দেখে তার স্বাদ মিটেছে বলে মন্তব্য করেন।
রামু উপজেলার মুদি দোকানদার আবদু শুক্কুর বলেন, ‘তারেক রহমানের কাছে মানুষের এখন অনেক বেশি চায়। তাই সে দেশে এসেছেন শুনে সবাই খুশি। আমিও খুশি, তারেক রহমানের ভালো কিছু করতে হবে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান, ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় তারেক রহমানের নির্ধারিত স্থলে কক্সবাজারের কমপক্ষে ২০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে বাসে-ট্রেনে নিজ উদ্যোগে জেলার প্রতিটি ইউনিট থেকে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী ঢাকায় যান, সংখ্যায় তা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে এবং সবাই নিজ উদ্যোগে যাত্রা করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বিপণন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩টি কোচের একটি স্পেশাল ট্রেন অনুমোদন দেওয়া হয়। ৫০৪ আসনের এই বিশেষ ট্রেনে নিজ উদ্যোগে নেতাকর্মীরা ভ্রমণ করেন।
প্রসঙ্গতঃ প্রায় ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশে ফেরেন তারেক রহমান। তাকে গণসংবর্ধনা দিতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনা মঞ্চ তৈরি করা হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাসে করে সে মঞ্চের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তারেক রহমান। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তিনি।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।