৭ মে, ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন

খুনিয়াপালং এ বৈদ্যুতিক ফাঁদে পেলে বন্যহাতি হত্যা, ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে একটি বন্য মা হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ভোররাতের কোন একসময় হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মৃত্যুর কবলে পড়ে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. হুমায়ুন কবির।
দুর্বৃত্তরা মৃত হাতিটির শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, ধারণা করা হচ্ছে ভোররাতে রামুর খুনিয়াপালংয়ের ধোয়াপালং এলাকায় ধানক্ষেতে চলে আসে একটি মা হাতি। সেখানে আগে থেকে স্থানীয়দের পাতানো বৈদ্যুতিক  ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে তা পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এ নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ের জনৈক নজির আহমদের ধান ক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করা হয়। এতেই হাতিটি নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়। হাতির মৃত দেহ লুকাতে পা, শূড় কেটে খন্ড, বিখন্ড করা হয়। এসব টুকরো অংশ উদ্ধার করে বনবিভাগ। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) রামু রিগান চাকমা, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদসহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন।
প্রানী সম্পদ বিভাগ রামুর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করেন।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জমির মালিক নজির আহমেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বন-বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় ধানক্ষেতে ৫/৬ টি বন্যাহাতির দল খাবার খেতে নামে। এসময় ধানক্ষেতটির মালিক নুরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা হাতিগুলো তাড়ানোর চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে তারা ধানক্ষেত থেকে তাড়ানোর জন্য হাতিগুলোকে বিদ্যুতের শট দেয়। এতে অন্য হাতিগুলো পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একটি হাতি ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে মৃত হাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খন্ড-বিখন্ড করার পর ধানক্ষেতে মাটি চাপা দেয়। ”
এ বন কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহকারি ভূমি কমিশনার রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাতিটি উদ্ধার ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ”
এ ঘটনায় ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা বাদী হয়ে রামু থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং কক্সবাজার বন আদালতে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।