উখিয়ার কোটবাজার ষ্টেশনে কাঁচা বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নাম-বেনামে সংগঠনের আড়ালে সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় ভাবে সাধারণ জনসাধারণ ও ক্রেতাদের জিম্মি করে হয়রানির করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা প্রশাসন জেনে ও না জানার ভান করে এড়িয়ে চলছে। বলতে গেলে প্রশাসনের কোন ধরনের বাজার মনিটরিং তদারকি নেই বললেই চলে। সমস্ত কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। উক্ত সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ ক্রেতা ও জনসাধারণ জিম্মি হয়ে পড়ায় জনমনে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে ফুটপাত ও দেশীয় উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে আসা খোলাবাজারের ঘরোয়া বিক্রেতাদের বাজার সিন্ডিকেটের গড ফাদাররা প্রতিনিয়ত বাধাঁ প্রদান করে আসছে। এমনকি এই নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর কোটবাজার খোলাবাজারের ব্যবাসায়ীদের সাথে কোটবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা গুরুতর অভিযোগ করেন।
গতকাল উখিয়া উপজেলার উখিয়া দারোগা বাজার, মরিচ্যা বাজার, সোনার পাড়া বাজার ও কোটবাজার সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, তিত করলা প্রতি কেজি কোটবাজারে ৬০ টাকা, পাশ্ববর্তি উখিয়া ও মরিচ্যা বাজারে ৪০ টাকা, মৌসুমী সবজি মুলা প্রতি কেজি কোটবাজারে ৫০ টাকা, উখিয়া ৩০ টাকা, মরিচ্যা বাজারে ৩৫ টাকা, ডেড়স প্রতি কেজি কোটবাজারে ৭০ টাকা, উখিয়ায় ৪৫ টাকা, মরিচ্যা ৫০ টাকা, গরিবের সারা বছরের খাবার আলু উখিয়া উপজেলা প্রতিটি বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করলেও মৌসুমী সবজি টমেটো রয়েছে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যার মূল্য কোটবাজারে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পাশ্ববর্তি উখিয়া ও মরিচ্যা বাজারে ৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ বাজারে সহজলভ্যতা হলেও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আগুন লেগে আছে নিত্য-নৈমিত্তিক। কাঁচা মরিচ গুদামজাত করে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে বিক্রয় করা হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা। যা উখিয়া ও মরিচ্যা বাজারের তুলনায় কোটবাজারে তুলনামুলক বেশি। যা উপজেলার পাশ্ববর্তি ৩টি বাজারের তুলনায় ৫ ইউনিয়নের মুখপাত্র কোটবাজারের তরকারি বাজারে প্রতিদিন ক্রেতাদের পকেট কেটে নিচ্ছে অসাধু কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা। এদিকে মৌসুমী সবজি বাজারে আসা শুরু করার সাথে সাথে কোটবাজারে সবজি বাজার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় জনমনে হতাশার চাপ দেখা দিয়েছে। ভালুকিয়া হারুণ মার্কেট থেকে সবজি ক্রয় করতে আসা আশরাফ উদ্দিন বলেন সিন্ডিকেটের কাছে আমরা সাধারণ ক্রেতারা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছি। এই জিম্মি অবস্থা থেকে আমাদের বাঁচতে হলে উপজেলার বাজার মনিটরিং কমিটির পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাজার তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিটি দোকানে টাঙ্গানো একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি।
এব্যাপারে কোটবাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সাম্প্রতিক উপজেলা প্রশাসন বাজারের কোন ধরনের মনিটরিং কিংবা তদারকি করছে না। যার কারণে সুযোগ পেয়ে ব্যবাসায়ীরা যার যেমন ইচ্ছা তেমন করে সিন্ডিকেট ব্যবসার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই জিম্মি দশা বেরিয়ে আসার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।