১৩ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ

কুতুবদিয়া বিএনপি নেতার দখল থেকে মুক্ত হলো স্কুল

দখলকুতুবদিয়ায় এক বিএনপি নেতার জবরদখল থেকে মুক্ত করা হয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দ্বীপের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পূর্ব তাবলরচর রেড ক্রিসেন্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত দেড় বছর ধরে দখলে রাখেন ওই নেতা।

কুতুবদিয়া দ্বীপের পূর্ব তাবলরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু ইউসুফ নামের এই বিএনপি নেতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটিরও সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের কয়েকটি কক্ষ দখল করে এটি তাঁর ব্যবসায়িক গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মারাত্মক ব্যাহত হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুফিজুর রহমান জানান, পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা আবু ইউসুফ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। তিনি কয়েকটি নৌকার মালিক। তাঁর নৌকার জাল ও অন্যান্য সামগ্রী বিদ্যালয়ের কক্ষে মজুত করে রাখেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী রয়েছে। এমনিতেই বিদ্যালয়ে কক্ষ সংকটের কারণে পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এর ওপর কয়েকটি কক্ষ গুদাম হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে বার বার গুদাম খালি করার তাগিদও দেওয়া হয়েছে। তিনি এসব কথায় কর্ণপাত করেন না।

এ প্রসঙ্গে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর সালেহীন গাজী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পড়ালেখা ব্যাহত হওয়ার কারণে আবু সৈয়দকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরেও তিনি মালামাল সরিয়ে নেননি। বরং গুদামটিতে আরো অতিরিক্ত মালামাল ভর্তি করে রাখেন তিনি।’ তিনি জানান, গতকাল বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুদামের মালামাল ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্মুক্ত নিলাম দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়ের দখল করা কক্ষ খালি করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

সুত্র: কালেরকন্ঠ

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।