২১ আগস্ট, ২০২৫ | ৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৬ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

কুতুপালং শরনার্থী বাজার অপরাধীদের আনাগোনা


উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও টাকা ছিনতাইয়ে নেমেছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র। সীমান্তের এই জিরো পয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরাধীরা হেডকোয়ার্টার হিসেবে বেছে নিয়েছে। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের কুতুপালং বাজার কেন্দ্রিক ৩/৪ টি পয়েন্টে রাতদিন ২০/৩০ জনের আলাদা আলাদা সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র ত্রাণ ও টাকা বিতরণকারী সংস্থা বা ব্যাক্তিকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে টাকার ব্যাগসহ যাবতীয় মূল্যবান জিনিসপত্র প্রতি নিয়ত ছিনিয়ে নিচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে অন্তত ত্রাণ ও টাকা বিতরণকারী ৪/৫টি গোষ্টি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে বলে কুতুপালং বাজারের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে লোকজন আলোচনা করছে। ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, র‌্যাব, পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাই, অস্ত্র বেচা কেনা, প্রতারকচক্রের তৎপরতাসহ প্রায় প্রতিটি অপরাধে সংশ্লীষ্ট অপরাধীরা এই পয়েন্ট গুলোতে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছে। বালুখালী টিভি রিলেকেন্দ্রের সামনে একটি গ্রুপ ঠিক উত্তর দিকে আরেকটি গ্রুপ, কুতুপালং আমগাছ তলা, ঘুমধুম কছুবনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি সড়কের দক্ষিণে চইট কাঠাল গাছ সংলগ্ন এলাকায় ২০/২৫ জনের আলাদা আলাদা অপরাধীচক্র দিনরাত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ দিতে আসা বিভিন্ন ব্যাক্তি বা সংস্থাকে ছিনতাই করার পরিকল্পনা নিয়ে উৎপেতে  বসে থাকে।
এসব স্থানে অপরাধীদের রয়েছে গোপন ঠিকানা। মোবাইল ফোনের বদোলতে এরা দিনেও রাতে প্রতিদিন কয়েকবার একত্রিত হয়ে তাদের অপারেশন ও টার্গেট স্থির করে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কোন অভিযান বা তৎপরতা না থাকায় দিন দিন কুতুপালংয়ের চিহ্নিত অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হক চৌধুরী জানান, অপরাধীরা রোহিঙ্গাদের জন্য আসা ত্রাণ ও টাকা ছিনতাইয়ের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে। পুলিশের রহস্যজনক নিরবতায় কুতুপালংএ অপরাধের ডাল-পালার বিস্তৃতি ঘটছে। উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরসহ সীমান্তের অরক্ষিত পয়েন্ট গুলোতে কড়া নজর রাখছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।
##

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।