৬ মে, ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন

করোনাকালে কক্সবাজারবাসী’র বন্ধু ‘নজিব’


নিজস্ব প্রতিবেদক:
“নজিবুল ইসলাম। একাধারে রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক নেতা। তবে সব পরিচয়কে ছাপিয়ে করোনার দু:সময়ে তাঁকে কক্সবাজারের মানুষ দেখছে ভিন্নরুপে। চিনেছে মানবিক মানুষ হিসেবে। তিনি কক্সবাজারবাসীর কাছে করোনাকালের বন্ধু নজিব হিসেবে সুখ্যাতি পেয়েছেন।”
কক্সবাজার শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি নজিবুল ইসলামের করোনাকালীন সময়ে চলমান কাজকর্মকে এভাবেই উপস্থাপন করেছেন মহেশখালি- কুতুবদিয়া আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
শুধু সরকারী দলীয় নেতাকর্মী নয় নজিবুল ইসলামের মানবিকতা হৃদয় ছুয়েছে বিএনপি নেতা, চিকিৎসক, সিভিল সার্জন, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।
এবিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সদর রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, নজিবুল ইসলাম
শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব)’র মহাপরিচালক। চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের পিপিই, মাস্ক বিতরণ সহ তার করোনাকালীন কাজ কর্ম সত্যিই প্রশংসনীয়।


বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল ইসলামের মেজো ছেলে নজিবুল ইসলাম। তিনি শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি, শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব)’র মহাপরিচালক, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সাধারন সম্পাদক ও সম্মলিত সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক। প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখা এই নেতা নীরবেই সকলের অলক্ষ্যেই দীর্ঘদিন মানবের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার শুরুতেই ২০২০ সালেই মার্চে নিজ খরচে করেছিলেন করোনা রোগির সংস্পর্ যাওয়াদের তালিকা তৈরির কাজ , তাদের টেস্টের ব্যবস্থা ও লকডাওন বাস্তবায়নে করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবক টিম। সেই সময়ে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের মাঝে বিতরণ করেছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পিপিই সহ নানা সরঞ্জাম। করোনা রোগী অক্সিজেন সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে ৫০টি পূর্নাঙ্গ অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছেন। জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাস্ক, গ্লাভস,হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও পিপিআই উপহার দেন তিনি। একইসাথে লকডাওনে কর্মহীন পত্রিকা হকারসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের খাদ্য সামগ্রী দেন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ত্রান তহবিলেও অনুদান দিয়েছেন তিনি।
করোনাকাল যেমন চলছে এখনো তেমিনি নীরবেই চলছে নজিবের মানবসেবা। এরই মাঝে টানা বর্ষণে ও পাহাঢ়ে ঢলে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশেও দাড়ালেন তিনি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কক্সবাজার পৌরসভার টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগনের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
নজিব প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান বলেন, করোনার শুরুতে যখন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসকরা আতংকগ্রস্ত ছিল। তখন নজিবুল ইসলাম আমাদের মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ডিস্যানিটাইজারসহ পিপিই উপহার দিয়েছেন। মাঝেমধ্যেই সকল চিকিৎসকের জন্য ফলমূল নিয়ে আসেন তিনি। এছাড়া রোগীদের জন্য সেবের মাধ্যমে ৫০ টি পূর্ণাঙ্গ সিলিন্ডিার দিয়েছেন মানবিক নেতা নজিব।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী বলেন, করোনার শুরু থেকে নজিবুল ইসলাম সকল শ্রেনী পেশার মানুষের পাশে থাকছেন। জেলার এমন দূর্যোগে সামর্থ্যবানদের উচিৎ মানুষের জন্য কিছু করা।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, চাকরী জীবনে আমি অনেক নেতা দেখেছি যারা নিজের জন্য নিজের স্বজনদের জন্য চায়। কিন্তু নজিবুল ইসলাম এমন এক মানুষ যে সবসময় জনগনের কথা বলে।


কক্সবাজার সিভিল সার্জন মাহাবুবুর রহমান বলেন, করোনা শুরু থেকে কক্সবাজারের নজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে তার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা কন্ট্রাক ট্রেসিং টিম কাজ করছে। এদের কাজ হচ্ছে করোনা রোগীর সংস্পর্শে যারা গেছে তাদের চিহ্নিত করা। স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবহিত করা। প্রয়োজনে করোনা টেস্ট করানো। এছাড়া দলটি টেলিমেডিসিন সেবা দেয়। এভাবেই নজিবুল ইসলাম করোনা সংক্রামন রোধে কাজ করে যাচ্ছে।
বরাবরের মত এবারো নিজেকে আড়ালে রেখে মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, একদিকে করোনা মহামারীর লকডাউন, অন্যদিকে অতিবৃষ্টি, পাহাড় ধ্বস এবং বন্যা ও পানি বন্ধি হয়ে কক্সবাজারের জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। তাই সরকারি সহায়তার পাশাপাশি জেলাবাসীর এই দূ:সময়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান করেন তিনি ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।