৭ জুন, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ | ১০ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল

করোনা নিয়ে মাহমুদুল হক চৌ’র নিবেদন ও শঙ্কা

ইমাম খাইরঃ
চীন থেকে সৃষ্টি হয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া মহামারি করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখন কক্সবাজারেও চরমভাবে ভর করেছে। ইতোমধ্যে ১ জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন জেলা সদর হাসপাতালের ১০ চিকিৎসক, ৮ নার্সসহ ২২ জন। করোনা আতঙ্ক শুধু শহরে নয়, গ্রামেও। দিনদিন বাড়ছে উদ্বেগ। সবার মুখে আলোচনা ‘করোনা ভাইরাস।’
বিশেষ করে, ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অধ্যূষিত জনপদ উখিয়া-টেকনাফের সর্বস্তরের মানুষ চরম আতঙ্কিত। এখানকার ঘনবসতিপূর্ন ক্যাম্পগুলোতে একবার করোনা ধরা পড়লে কি অবস্থা হয়, তা ভাবার অপেক্ষা রাখে না। ইতোমধ্যে সচেতন মহলে এসব বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে।
নিজের ফেসবুকওয়ালে লিখেছেন- উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক চৌধুরী।
বর্তমান সময়ের জন্য ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় পাঠকমহলের কাছে উপস্থান করা হলো-

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/জেলা প্রশাসক মহোদয় ককসবাজার/পুলিশ সুপার মহোদয় ককসবাজার ও নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়, উখিয়া।
আমরা জানি ও বুঝতে পারি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং কর্তব্য নিষ্টার প্রতি একান্ত দরদী মন নিয়ে আপনারা নিজেদেরকে করোনা ভাইরাস হতে জেলাবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য নিরলস ও বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই জেলাবাসী আপনাদের কর্মকান্ডে শ্রদ্ধাবনত হয়েছেন। শুধুমাত্র একটি বিষয় আমাদেরকে শংকিত করে তুলেছে। তাহল কোয়ারান্টাইনের জন্য উখিয়ার ইনানী এবং রাজাপালংসহ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ ও পর্যটক সমৃদ্ধি কর স্থানকে নির্ধারণ করার জন্য। মহোদয়গন উখিয়া উপজেলার জনগন এমনিতেই ১৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার কারনে চরম ভোগান্তিতে আছে মানবতার জননী বঙ্গবন্ধু কন্যার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা সব কষ্ট সহ্য করে আছি। আমাদের উপর আরো টেনশন ও বিপদ চাপিয়ে দেওয়া কি যুক্তি সংগত হবে? তাছাড়া এই ব্যবস্হার ফলে বর্তমানে অনেকটা করোনা মুক্ত ও সুরক্ষিত গ্রাম অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ শুরু হবার আশংকা জাগবে তা নয় কি?
প্রিয় মহোদয়গন, কক্সবাজার জেলায় এর চেয়ে অনেক সুরক্ষিত স্থাপনা আছে যেখানে স্থান করলে আশেপাশের বসতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তুলনামূলক কম।
আমাদেরকে ডাকা হলে সেবিষয়ে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব। এতে করে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের প্রতি বর্তমান সৃষ্ট আস্থা ও শ্রদ্ধা জনমনে শুধু অক্ষুন্নই থাকবেনা বরং বৃদ্ধি পাবে। এ লিখাটি শুধু আমার মনের কথা নয়, উখিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে শত শত মানুষের আহবানে আমি আবেদনটি সুহৃদয় বিবেচনার জন্য আপনাদের সমীপে নিবেদন করলাম।
জাতির এ দূর্যোগময় সময়ে আপনাদের বর্তমান কর্মকান্ড শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে রয়ে যাবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।