৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২২ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

কক্সবাজারে ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের মামলা

সম্পত্তির লোভে বোনকে হত্যার হুমকি, চাঁদা দাবীসহ জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সন্ত্রাসী ভাই আবুল মনছুর লুদুর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভোক্তভুগি বোন দিল নেওয়াজ বেগম বাদী হয়ে গত সোমবার মামলাটি দায়ের করেন।  মামলায় একমাত্র আসামি আবুল মনছুর লুদু (৪৩)।
জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের উত্তর রুমালিয়ার ছড়ার বাসিন্দা পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী দিল নেওয়াজ বেগমের জমি দখলের চেষ্টা, চাঁদাদাবী, হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় ৯ মাস আগে এজাহার নিয়ে পুলিশের কাছে ধর্না দিয়েছিলেন তিনি। সদর মডেল থানার তৎকালিন ওসি মুনীর উল গীয়াস অজ্ঞাত কারণে মামলা নেয়নি। অবশেষে তিনি আদালতে স্মরণাপর্ণ হন।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার সুত্রে জানা গেছে, দিল নেওয়াজ বেগমের পিতা গত ২৭/১০/২১ইং সাইফুল কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ৮ শতাংশ জমি  রেজিঃ দলিল করে দেন এবং তা খারিজ করেন। দিল নেওয়াজ বেগমের নামে জমিটি খতিয়ানভুক্ত করাসহ খাজনা পরিশোধ করেন।
মামলার আর্জিতে তিনি আরও দাবী করেন, আমার পিতা এখনও জীবিত আছেন। পিতা তার জীবদ্দশায় সুস্থ্য থাকা অবস্থায়, যে কাউকে তার সমুদয় সম্পত্তি লিখে দিতে পারে। সেই হিসেবে যে কোন সন্তানকেও সমুদয় সম্পত্তি লিখে দিতে পারেন। জীবদ্দশায় সুস্থ্য থাকা অবস্থায় আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন।
আমার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় উক্ত বিক্রি করতে গেলে গত বছরের ২০ মার্চ বড় ভাই আবুল মনসুর লুদু বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এমনকি ওই জমি নিতে আগ্রহী ক্রেতাদের বিভিন্ন সময়ে হুমকী দেয়। জমিটি কেউ ক্রয় করলে তাদেরকে খুন করবে এবং জমি বিক্রি করতে হলে লুদুকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী দিল নেওয়াজ বেগম আর্জিতে আরও বলেন, বিষয়টি আমার পরিবারের মামা, চাচা, চাচাতো ভাইদের সহ সকল নিকটাত্মীয়দের জানিয়েছি। কিন্তু লুদু কারও কথা না মেনে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং আমার স্বামী মোহাম্মদ আবুল মনসুরকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। অথচ আমার পিতা আমাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়ে আমার অন্য ভাই বোনরা কোন আপত্তি করেননি।
বাদী আর্জিতে আরও বলেন, আবুল মনছুর লুদুর অত্যাচার, হুমকি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে  আমার জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি। আমাকে যেকোন সময় হত্যাসহ যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত করতে পারে আবুল মনছুর লুদুইয়া। লূদুইয়া একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে জি.আর মামলার নং-৮০/২০০১, নং+১৭৬/২০০১ইং, জি.আর-১৪৯/৯৬ইং (সদর),
এস টি-৯৮/৯৮ইং , জিআর ২৪০/ ৯৬ইং, জিআর -২৭৮/২০০১ইং, জিআর-১৮৩/৯৮ইং , জিআর-৩১/২০০২ইং, জিআর-৯৪/২০১৫ইং।, জিআর-১৯/২০১৫, জিআর-২০/২০১৫ইং ও
জননিরাপত্তা আইনের মামলা ০১/২০০৩ইং চাঁদাবাজী, জমি দখল, খুন, ডাকাতি সহ প্রায় ২০ টির অধিক মামলা ও সহ অসংখ্য সাধারণ ডায়েরী রয়েছে।
দিল নেওয়াজ বেগমের আইনজীবি আবদুল মান্নান বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল মনছুর লুদুর মুঠোফোনে  একাধিবার যোগাযোগ করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।