৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ২১ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

কক্সবাজারে বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাহাড় না কাটতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বার্তা পরিবেশক:
পাহাড় না কেটে কক্সবাজারে বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানী শেষে এ নির্দেশনা দিয়ে ২০১৫ সালের দেয়া একটি রুলের নিষ্পত্তি করেছেন। শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বাদী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চত করে মিনহাজুল হক চৌধুরী জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়। বিউবোর কক্সবাজার বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মু. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শহরের কলাতলী এলাকার ঝিলংজা মৌজার ১৭০৩০ নং দাগের চার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এতে উল্লেখ করা হয়, জমিটি পাহাড় শ্রেণীর। এরপর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। পরে বিষয়টি প্রচার হলে কক্সবাজারের বাসিন্দাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা ) পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কলাতলী এলাকায় পাহাড়ি জমিতে বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণসহ জমি অধিগ্রহণের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনাদেয় আদালত। একই সাথে এর আশপাশের এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই এলাকা কেন প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হবেনা এবং এ এলাকায় পাহাড়গুলো সংরক্ষণ করতে ব্যর্থতাকে কেন দায়ী করা হবেনা তা জানতে চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে আদালত। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা আবাসন প্রকল্পের জন্য রহস্যজনক কারণে পাহাড়ী জমি পছন্দ করায় এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, আদৌ এ আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়েও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে উদ্ভেগ-উৎকন্ঠা। মুলত: সংঘবদ্ধ একটি চক্র ক্ষতিপূরণের নামে সরকারের ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে গোপনে পাহাড়ি জমি অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।