এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন,কক্সবাজারঃ এবার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় এক’শ একর বন ভুমি উদ্ধার করেছে দুদক। এসময় পাহাড় কেটে হড়ে উঠা অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাহাড় কাটা এবং বেদখলে যাওয়া বন ভুমি উদ্ধারে অভিযানের তৃতীয় দিন সরকারী এ জমিগুলো উদ্ধার করে দুদক। গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসন,পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ ও র্যাব। এ সময় ওই এলাকায় বন ভুমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটা ও সরকারী জমি দখলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে পরিবেশবিধ্বংসী ও সরকারী জমি অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার মতো তৎপরতা প্রতিহত করার কঠোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে অভিযান শুরু করে দুপুরে শেষ হয়। অভিযানের নেতৃত্বদেন দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কাযয়ালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ‘দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্যারের নির্দেশ পরিচালিত যৌথ এ অভিযানে পিএম খালীতের পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি প্রায় ১০০ একর বন ভুমি উদ্ধার করা হয়েছে। ’
এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটা, সরকারী জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো পরিবেশবিধ্বংসী ও আইন বিরোধী কাজের প্রধান কারণ দুর্নীতি। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে। দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।