৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

কক্সবাজার পুলিশের সাংবাদিক নির্যাতন : সাংবাদিক ইউনিয়নের নিন্দা


কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করেছে দেশের অন্যতম নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার তুষার তুহিনকে। আদালতে তিন বছর আগে খালাস হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার করে টানা হেঁছড়া সহ নানা নির্যাতন চালানো হয়।
রোববার সকালে কক্সবাজার সদর থানার এএসআই মুজিবুল হক এ ঘটনাটি ঘটায়। খালাস প্রাপ্ত মামলায় পুর্লিশ দ্রুত সময় এ সাংবাদিককে আদালতে প্রেরণের নজিরও সৃষ্টি করেছে। যদিও আদালত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে এক ঘন্টার মধ্যে তুষার তুহিনকে মুক্তি দিয়েছে। আর এ ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। তারা এঘটনাকে পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন বলে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার সদর থানার এএসআই মুজিবুল হক কক্সবাজার শহরের নিজ বাড়ি থেকে তুষার তুহিনকে থানায় নিয়ে আসেন। ১০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে তুষার তুহিনকে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত জানান তুষার তুহিন।
তিনি জানান, এএসআই মুজিবুল হক তার বাড়িতে গিয়ে কোন কথা ছাড়াই জোর করে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তাকে টানা হেঁচড়া করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়া হয়। পুলিশের এ কর্মকর্তা নানাভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে গালিগালাজ করেন। থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে যাওয়া হলে তিনি ২০০৭ সালের একটি মামলায় গ্রেফাতারি পরোয়ানা থাকার কথা বলেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা তিনি জানান মামলাটি উভয় পক্ষে সমাঝোতার মাধ্যমে ২০১৪ সালে আদালতে খালাস হয়েছে। তার কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে। পুলিশের এ কর্মকর্তাকে কাগজ পত্র বাড়ি থেকে আনা পর্যন্ত সময় দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে টানা হেঁচড়া করে ১০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবি আদালতে কাগজ পত্র দেখালে আদালত তাকে মুক্তি দেয়।
তুষার তুহিন জানান, ঘটনাটি পুলিশের পরিকল্পিত। শনিবার একটি নিউজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা হয়েছে। নিউজটি ছিল কক্সবাজার সদর থানার একজন এসআই এর বিরুদ্ধে এক নারীর আদালতে মামলা দায়েরের ব্যাপারে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাকে হুমকিও দিয়ে ছিলেন। আর এর বহি:প্রকাশ তাকে খালাস প্রাপ্ত মামলায় পরিকল্পিত নির্যাতন।
আর এ পুরো ঘটনাটি পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানী বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। ঘটনা প্রতিবাদে রোববার দুপুর দেড় টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় ঘটনা নিন্দা জানিয়ে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের এ ঘটনাটি বলে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা অন্যতায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সারা দেশের সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করবেন বলে হুশিয়ারী দেন।
সভায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় সদস্য এডভোকেট আয়াছুর রহমান সহ অন্যান্য বক্তব্য রাখেন।
এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।