২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৯ পৌষ, ১৪৩২ | ৩ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

কক্সবাজার পর্যটনে নতুন সংযোজন ফিশ এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্স

এম.এ আজিজ রাসেলঃ কক্সবাজার পর্যটনে নতুন সংযোজন হয়েছে রেডিয়েন্ট ফিশ সেন্টার। শহরের অভ্যন্তরে চিত্ত বিনোদনের খোরাক হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম আন্তজার্তিক মানের ফিশ এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্স এটি। পর্যটন শিল্প বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। রেডিয়েন্ট ফিশ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে দুই বছর আগে রেডিয়েন্ট ফিশ সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইট-পাথর আর কংক্রীটে আবদ্ধ জীবন থেকে এখানে এসে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ও বিনোদনের স্বাদ পাবে দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ শহরবাসী। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেডিয়েন্ট ফিশ সেন্টারকে মোট ৮টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। ৮টি জোনের মধ্যে রয়েছে থ্রি-নাইন ডি মুভি দেখার নান্দনিক স্পেস, দেশী-বিদেশী নানা প্রজাতির পাখি, ছবি তোলার আকষর্ণীয় ডিজিটাল কালার ল্যাব, মার্কেটিং করার জন্য শপ, লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্ট, প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের জন্য খেলাধুলার জোন, বিয়ে বা পার্টির করার কনফারেন্স হল ও ছাদে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার পাশাপাশি আয়োজন করা যাবে বার-বি কিউ। এছাড়া রয়েছে সুপরিসর পার্কিং ও লাগেজ রাখার লকার। এখানেই এসে কোন রকম বিরক্তি ছাড়াই কিভাবে নিমিষেই ৪ থেকে ৫ ঘন্টা কেটে যাবে বুঝাই যাবে না। পুরো সেন্টার নিরাপত্তা বেষ্টনী সিসিটিভির আওতায় সর্বক্ষণ নিরক্ষণ করা হয়।
এখানকার মূল আকর্ষণ ফিশ এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্স। এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, সাগর ও মিঠা পানির বর্ণিল রাজত্ব। সেখানে বিচরণ করছে প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ। জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুকুর ও সমুদ্রের গভীর তলদেশে বসবাস করা নানা প্রাণীর বসবাসের চিত্র। এখানে কেউ ঢুকলে মনে হবে সমুদ্রের তলদেশে অবস্থান করছে। মাছের যতœ ও খাবার দিতেও রয়েছে ডুবুরী। এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্স অবলোকনে বিদেশীদের জন্য ২০০০ হাজার টাকা, দেশী পর্যটক বা স্থানীয়দের জন্য ১০০০ হাজার টাকা ও শিশুদের জন্য রয়েছে সুলভ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া মাপ অনুযায়ী শিশুদের জন্য রয়েছে ফ্রি ব্যবস্থা। এছাড়া টিকেটের উপর রয়েছে ৫০% মূল্য ছাড়। রেডিয়েন্ট ফিশ সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার ও ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন জানান, বর্তমান প্রজন্মকে গ্রাস করছে ইন্টারনেট। এতে শিশুদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। পাশাপাশি বিনোদনের উৎস খুঁজে না পেয়ে অনেকেই বিপদগামী হচ্ছে। এছাড়া অধিকাংশ শিশু-কিশোর সমুদ্র ও মিঠা পানির মাছ সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই তাদের বিলুপ্ত হওয়া প্রাণীসহ বিভিন্ন মাছের সম্পর্কে ধারণা দেশে এই প্রথম আন্তর্জাতিক মানের এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে কক্সবাজারে। এটি কক্সবাজারবাসীর জন্য গৌরবের। রেডিয়েন্ট ফিশ সেন্টার যাত্রার মাধ্যমে পর্যটনে নব দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।