৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ১২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

এমপি বদি’র কাছে ফরিয়াদঃ আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করুন

>> মাননীয় সাংসদ মহোদয়,
এটি কেবল একটি খালের ছবি নয়, খালের করাল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়া উখিয়া উপজেলার তুতুরবিল এবং পিনজির কুল গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের প্রতিদিনকার চলাচলের মেটো পথটির অদৃশ্য ছবিও বটে। খালের গর্ভে বিলীন হলেও যেটি এখনো এই এলাকার জনসাধারণের স্মৃতির মানসপটে দৃশ্যমান। আমরা এখনো কষ্ট করে হাঁটি চিরচেনা এই পথ দিয়ে। কারন, এই মেটো পথ দিয়ে হেঁটেছেন আমাদের পূর্বপুরুষ এবং আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়া অনেক কীর্তিমান। হাঁটছে বর্তমান প্রজন্ম, হয়তো আগামী প্রজন্মও আমাদেরকে অনুসরন করবে। তাতে আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু একটা লজ্জা বোধয় আমরা এড়াতে পারবনা। সেটা কি জানেন? এই প্রজন্ম হয়তো বর্তমান পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট নিয়ে অবগত। তাই হয়তো তারা কোন অভিব্যক্তি প্রকাশ করবেনা। কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি এই দূরাবস্থার মুখোমুখি হয়, তারা হয়তো বলবে, এই এলাকায় কি কোন সচেতন লোক কিংবা দেশের উন্নয়ন করার মত কোন জনপ্রতিনিধি ছিলেন না? তখন কি উত্তর দেবে আমাদের কিংবা আপনার অদৃশ্য আত্মা? এটা কি আমাদের জন্য বড় লজ্জার বিষয় হবেনা?

আপনার সদয় অবগতির জন্য গর্বের সহিত বলছি, এই গ্রামে অবস্থিত তুতুরবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একসময় লেখাপড়া, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সমগ্র উখিয়া উপজেলায় সুপ্রসিদ্ধ ছিল। এই বিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গৌরবের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। যাদের মধ্যে এমবিবিএস ডাক্তার, অধ্যাপক, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা উল্লেখযোগ্য। এই এলাকায় একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ জনাব মরহুম আজিজুর রহমান (বি.এ, এল.এল.বি), প্রখ্যাত সমাজসেবক জনাব মরহুম ছৈয়দ আলম মেম্বার, জনাব মরহুম সোলতান আহমদ মেম্বার এবং তাঁদেরই সহচর সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী, সমাজসেবক জনাব আবুল বশর মেম্বার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমৃদ্ধশালী এই গ্রামদ্বয়ের মানুষ একটি ভাল মানের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুখ থেকে বঞ্চিত হয়ে সারাজীবন দুঃখ কষ্টে চলাচল করবে তা কি সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায়?

এখানে উল্লেখ্য যে, এই দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী। যাদের সাথে বহুকাল ধরে এই দুই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে রয়েছে সুন্দর, সৌহার্দ্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। অদ্যাবদি তাদের সাথে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন ধরনের দাঙ্গাহাঙ্গামা হয়নি। যদিও কয়েকবছর পূর্বেকার একটি ঘটনায় মুষ্টিমেয় কিছু বিপদগামী লোক দ্বারা পুরনো বৌদ্ধমন্দির খানিকটা আক্রমনের শংকায় পড়লেও বেশ কিছু সচেতন মুসলিম ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। যাদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জনাব নুরুল কবির মেম্বার এবং উখিয়া ডিগ্রী কলেজের সম্মানীত অধ্যাপক জনাব শাহ আলমের নাম বিশেষ ভাবে প্রশংসার যোগ্য।উক্ত অনাকাঙ্খিত এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা ছাড়া অন্যকোন ঘটনা কখনো ঘটেছিল মর্মে কোন দলিল পাওয়া যায়না। তাই বলা যায়, এই গ্রামদ্বয়ের লোকজন অতীব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিমনা। যা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে কিনা বলা দুষ্কর। এহেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যে গ্রাম, সেই গ্রামের মানুষ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় আবদ্ধ থাকবে তাও কি এই সভ্য সমাজে দেখতে হবে?

>> মাননীয় সাংসদ মহোদয়,
উপরের আবেগী কথাগুলো শুধুমাত্র আমার একার নয়। বরং; আপনার নির্বাচনী এলাকা উখিয়া উপজেলাধীন রাজাপালং ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার লোকের আবাস সমৃদ্ধ তুতুরবিল এবং পিনজির কুল গ্রামের সর্বসাধারনের হৃদয়ের কথা। এই দুই গ্রামে তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বহুসংখ্যক মসজিদ, মাদ্রাসা এবং বৌদ্ধমন্দির রয়েছে। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কথা হল, এই গ্রামদ্বয়ের প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়ালেখা করে, যারা প্রতিদিন চলাচলের এই মেটোপথ এবং বিকল্প পথে যাতায়ত করে। প্রায় হাজার লোক তাদের প্রয়োজনে হাট-বাজার সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে আসা যাওয়া করে এই পথ দিয়ে। তাতে আমাদের কষ্ট হলেও বাপ-দাদার স্মৃতিবিজড়িত এই এলাকাটি নিজেদের জন্মস্থান বলে এটা ছেড়ে কিংবা অবহেলা করে অন্যত্র স্থায়ী আবাসন গড়ে নিতে মন সায় দেয়না। আমরা লজ্জাবোধ করি কখন জানেন? যখন ভিন্ন এলাকার কোন লোকজন বা নিজেদের আত্মীয় স্বজন এই চলাচলের অযোগ্য পথ দিয়ে আমাদের গ্রামে প্রবেশের সময় জিজ্ঞেস করে, এটা কি এমপি বদি’র নির্বাচনী এলাকা? এমপি’র শ্যালক এবং রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর ভোটাররা এই পথ দিয়ে যাতায়ত করেনা? তখন লজ্জায় আমাদের মাথা নুয়ানো ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। বলতে পারেন, এই লজ্জাটা আসলে কার? লজ্জা যার-ই হউক, আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।

>> মাননীয় সাংসদ মহোদয়,
এই পথটি বহু পুরনো। একটা সময় এই পথ এবং খালের দুরত্বের মাঝখানের বিশাল খোলা জায়গায় মানুষ চাষাবাদও করত। কিন্তু কালের আবর্তে খালের ক্ষুধার্ত করাল গ্রাসে খালের গর্ভেই ঠাঁই হয় এই পুরনো মেটোপথটির। প্রতিবছর বছর একটু একটু ভাঙ্গনের ফলে আজ পথটির এই অবস্থা! গেল বছর আপনার সু-মহান বদান্যতায় মেরামত করে চলাচলযোগ্য করা হলেও কাজটি খুবই নিম্নমানের হওয়ায় ঐ বছর বর্ষার সময়-ই গাইডওয়াল সহ পুরো রাস্তাটি খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বহুবার এই ভাঙ্গন পুনরায় মেরামতের টেন্ডার হচ্ছে বা হয়েছে শুনলেও অদ্যাবদি তার কোন সত্যতা মেলেনি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙ্গনের উপর দিয়ে অগত্যা যাতায়ত করতে হয় বলে বিভিন্ন সময় গ্রামবাসীদের ছোটখাটো দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। তাই স্থায়ী সমাধান বাঞ্চনীয়।

লোকমুখে শুনা সমস্যা সমাধান না হওয়ার নেপথ্য কারনঃ
মহোদয়, এই সমস্যাটা নিয়ে সর্বসাধারনের হরেক রকমের মন্তব্যে কোন গন্তব্য খোজে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বলছে এটা আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাবেক সাংসদ জনাব শাহজাহান চৌধুরীর ভোট ব্যাংকখ্যাত তুতুরবিল-পিনজির কুল গ্রামের লোকজনের যাতায়তের রাস্তা বিধায় এটার প্রতি আপনার এবং আপনার শ্যালক, রাজাপালং এর চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর তেমন কোন দরদ নেই। কারো মতে, আপনার বদান্যতায় মেরামতকৃত সেই ভাঙ্গন এবং রাস্তার মুখে উদ্ভোধক হিসেবে আপনার নামীয় ফলকটি সাঈদীর রায় পরবর্তী আন্দোলনে স্থানীয় বিক্ষোব্ধ জনতা কর্তৃক ভেঙ্গে ফেলায় অভিমানে আপনি আর এটি মেরামতের ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাই যদি না হবে তাহলে এই দুই গ্রামের মানুষ কেন এত অবহেলায় থাকবে? কিন্তু আমরা সেটা বিশ্বাস করিনা। কারন, প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা কখনো প্রতিহিংসাপরায়ন হন না। তাছাড়া, আপনার জনকল্যানমুখী মনোভাব এবং সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে আমরা বেশ ভালই অবগত। তাই আমাদের ধারনা, এটার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কেউ আপনার কানে দেয়নি বলে হয়তো আমাদের এই দূরাবস্থা।

>> আমাদের উপলব্দি এবং নিবেদনঃ
মহোদয়, ভাঙ্গন রাস্তাটির খুব সন্নিকটেই রাজাপালং এবং রত্নাপালং এর সীমানা। রাস্তাটি রত্নাপালং ইউনিয়নের সীমানা অভ্যন্তরে হলেও এই ইউনিয়নের খুব কম সংখ্যক লোকজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করে। কারন, এটি রত্নাপালং এর দক্ষিণ-পশ্চিমের শেষ সীমানা। পক্ষান্তরে এটি উল্লেখিত তুতুরবিল এবং পিনজির কুল গ্রামের লোকজনের চলাচলের প্রধান রাস্তা বিধায় রত্নাপালং এর জনপ্রতিনিধিদের কাছে এটার কোন গুরুত্ব নেই বা আমাদের সুখ দুঃখে তাঁদের কিচ্ছু যায় আসেনা। অন্যদিকে, রাজাপালং এর জনপ্রতিনিধিদের চিন্তাচেতনা যে, যেহেতু রাস্তার ভাঙ্গা অংশটির অবস্থান রত্নাপালং ইউনিয়নে তাই এটির মেরামতের দায়িত্ব রত্নাপালং এর জনপ্রতিনিধিদের। ফলে এই দুই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের হীন মনমানসিকতার শিকার হয়ে নাগরিক অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুই গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ। কিন্তু মহোদয়, এটাতো আপনার নির্বাচনী এলাকা। ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা আমাদের অধিকারকে ভাগ করে দেখলেও আপনার তো সেভাবে দেখার কথা না। কারন, আপনি সমগ্র উখিয়া-টেকনাফের স্বীকৃত অভিভিবক। সবচেয়ে বড় কথা, আপনার মত উন্নয়ন চিন্তাচেতনার একজন এমপি’র কাছে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করাটা কঠিন কোন বিষয় নয়। প্রয়োজন শুধু আমাদের চাওয়াটাকে অতিরঞ্জিত না ভেবে যুগোপযোগী মনে করা।

>> মাননীয় সাংসদ মহোদয়,
অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনার মত মহান মনের অধিকারী ব্যক্তিত্বের কাছে আমাদের এ অনুনয়। এটাকে হালকা ভাবে নেওয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনি অভিমানে কিংবা অবজ্ঞায় এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। কারন, আপনার নির্বাচনী এলাকা উখিয়ার এই গ্রামদ্বয়ের মানুষ গুলো সত্যিকার অর্থে অনেক কষ্টে আছে। এই গ্রামের কোন ছেলে মেয়ের বিয়ে হলে বরযাত্রীর যাতায়তে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কেউ রোগাক্রান্ত হলে হাসপাতালে পাঠানো কষ্টকর হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের মন ভয়ে কেঁপে উঠে। জীবনের প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে যাওয়া অনেক মানুষ এই ভাঙ্গনে ডুবেছে অনেকবার। উৎপাদিত কৃষিজপণ্য হাট-বাজারে নিতে গিয়ে কৃষকদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই এতসব দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার যৌক্তিক দাবী এবং অধিকার নিয়ে মূলতঃ আপনার কাছে আমাদের এই ফরিয়াদ।

>> মাননীয় সাংসদ মহোদয়,
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত দেশের মুখচ্ছবি। অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকল্প নেই। আধুনিক শতাব্দীর এই ডিজিটাল সময়ে আপনার এলাকার মানুষ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় যাতায়ত করবে তার জন্য যতটা না লজ্জা আমাদের, তার দ্বিগুন লজ্জা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের। এই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাঝে অাপনি সর্বেসর্বা বিধায় এই লজ্জা এবং ব্যর্থতার দায় আপনিও এড়াতে পারেন না। কিন্তু আমরা চায়না আমাদের জনপ্রতিনিধিরা ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক। আপনি নিজেও বিভিন্ন জনসভায় জনগনের উদ্দ্যেশ্যে বলে থাকেন, কার কি প্রয়োজন তার দাবী নিয়ে আপনার কাছে যেতে। তাই মূলতঃ আপনার কাছে আমাদের এই আর্জি উপস্থাপন যে, সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা উপহার দিয়ে আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে আমাদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করুন।

আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

(বিঃদ্রঃ এই লেখা কাউকে ছোট কিংবা বড় করার জন্য নয়। এটা আমাদের প্রয়োজনে বলা একান্তই আমাদের অধিকারের কথা। যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন তার জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে হাতজোড় ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তাছাড়া আমি সাধারনত অনুমতি ছাড়া কারো আইডিতে কিছু ট্যাগ করিনা। কিন্তু এটা সর্বসাধারনের জন্য প্রযোজ্য মনে করে তুতুরবিল-পিনজির কুল গ্রামের অনেকের আইডিতে ট্যাগ করেছি। তাই কিছু মনে না করার অনুরোধ রইল)।

লেখকঃ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যাংকার,কক্সবাজার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।