১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

এবার কক্সবাজারেই হবে করোনা পরিক্ষা

কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চলে এসেছে পরীক্ষার কিট ও আইইডিসিআর’র অভিজ্ঞ জনবল। রোগীর শরীরে কোভিড-১৯ এর আলামত মিললেই করা হবে করোনা পরীক্ষা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, সারাদেশে করোনার জীবাণু টেস্টের জন্য ১৭টি পরীক্ষাগার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরমধ্যে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজেরটা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীর স্যাম্পল ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে পাঠাতে হবে না। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজেই হবে করোনার টেস্ট। তবে রিপোর্ট ঘোষণা করা হবে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে।

অধ্যক্ষ আরো বলেন, যতদূর জানি এই পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এই ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা টেস্ট করা সম্ভব।

ডা. অনুপম বড়ুয়ার মতে, কোনো রোগী সরাসরি এখানে এসে টেস্ট করাতে পারবে না। টেস্ট করাতে হলে রোগীর রক্ত, নাকের ফ্লু, থুথু ও অন্যান্য স্যাম্পল জেলা প্রশাসন, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এখানে পাঠাতে হবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই কিংবা কারো সন্দেহ হলেই এই টেস্ট করা হবে না। রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকজনকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে, এরপর আইসোলোশনে রাখা হবে। তারপরও যদি করোনা ভাইরাসের সবগুলো লক্ষণ তার শরীরে দেখা যায় তবেই পরীক্ষা করা হবে।

অধ্যক্ষ বলেন, এই টেস্ট করতে কক্সবাজারের কোনো চিকিৎসক এবং টেকনোলজিস্ট কাজ করবে না। আইইডিসিআরের একটি অভিজ্ঞ দল কাজ করবেন যারা অতীতেও এমন সংক্রামক ও জটিল রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।

এদিকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো পরিপূর্ণ প্রকাশ পেতে ৪-৫ দিন সময় লাগে। জ্বর, শুষ্ক কাশি, গলা-মাথা ও শরীর ব্যথা, কোনো কোনো সময় ডায়রিয়া হচ্ছে এই রোগের লক্ষণ। এটি অন্যান্য সংক্রামক ভাইরাসের চেয়ে একটু আলাদা। স্বাভাবিকভাবে এই ভাইরাস যুবক, তরুণ ও তরুণীদের ঘায়েল করতে পারে না যতটা বয়স্কদের করে। তাছাড়া ডায়বেটিকস, প্রেসার ও হার্টের রোগীদের জন্য এটি একটি মারাত্বক ভাইরাস।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জেলায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার আলোকে সেই কমিটি একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ওই নিয়ম অনুযায়ী জেলায় সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হবে।

©jagonews

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।