২৮ আগস্ট, ২০২৫ | ১৩ ভাদ্র, ১৪৩২ | ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫

উখিয়ায় ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতী গাভীর মৃত্যু” শীর্ষক সংবাদে মোস্তফা কামাল শাহীনের ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি-

গত ৬ নভেম্বর (শুক্রবার) রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তরপুকুরিয়া এলাকার জিয়াউল হকের একটি গর্ভবতী গাভী অসুস্থ হয়। গরুটির লক্ষণ ছিল অতিরিক্ত পেট ফুলা। পায়খানা প্রশ্রাব বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট।

শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় উখিয়া উপজেলার কোন পশু চিকিৎসককে না পেয়ে জিয়াউল হক পূর্বপরিচিত বন্ধু ও সহকর্মী হিসেবে আমাকে ফোন করে। অনেক অনুরোধ করলে তার গাভীটি দেখা জন্য নিয়ে যায় এবং একজন ডিভিএম রেজিষ্টার্ড পশু চিকিৎসকের সাথে ফোনের মাধ্যমে পরামর্শক্রমে এট্রোভেট ৫ মি.লি (চামড়ার নিচে), রিভিট বি- ৫ মি.লি (মাংসে) এবং খাওয়ার জন্য জায়মোভেট পাউডার দিয়ে চলে আসি।

এছাড়াও সাদা কাগজে রুমিলেটর পাউডার, সিরাপ জিরো ব্লট, টিএমবিভেট ট্যাবলেট সাদা লিখে দিই। যা অসুস্থ গরুটিকে খাওয়ানো হয়নি বলে জানায়। এরপরের দিন জিয়াউল হক ফোন করে জানায় তার গরুটি মারা গেছে।

আমি মোস্তফা কামাল শাহীন সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী একজন প্রশিক্ষিত গবাদি পশু প্রজননকর্মী হিসেবে প্রাণী সম্পদ জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছি। পাশাপাশি এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের অধীনে কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক সেবাকর্মী হিসেবে নিয়োজিত আছি। নিজেকে কখনো চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিইনি এবং ভিজিটিং কার্ডেও ডাক্তার লেখা হয়নি। গত ২০০৭ সাল থেকে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে গবাদি পশুর প্রাথমিক ভাবে পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছি।

জিয়াউল হকের একটি অসুস্থ গরুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এবং আমাকে জড়িয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করেছে। অসুস্থ গাভীটি আমার পরামর্শে ভুলের কারণে মারা যায়নি। কারণ, উপজেলার একজন রেজিষ্টার্ড ডিভিএম চিকিৎসকের সাথে ফোলাআপ করে আমি পরামর্শ নিয়ে সেবা দিয়েছি। এতে কোন ভুল ছিল না বলে আমি চ্যালেঞ্জ করেছি। যার ফলে অদ্য ১২ নভেম্বর উভয়ের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়।

এদিকে আমাকে জড়িয়ে একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অপরদিকে ভেটেনারী কাউন্সিল এ্যাক্ট অনুযায়ী প্রশিক্ষণ বিহীন যারা পশু চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিবৃতি দাতা :
মোস্তফা কামাল শাহীন
কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক সেবাকর্মী
ব্র্যাক।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।