২ মে, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

উখিয়ায় বোরোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

৬৬৬৬৬
বি¯তৃর্ণ ধান ক্ষেত্রে বোরো চাষাবাদের সোনালী শীষের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। পানির সংকটের কিছুটা চিন্তা থাকলেও কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক মৌ মৌ গন্ধে কৃষক-কৃষানীরা মাতোয়ারা। আর কয়েকদিন কোন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে এবার বোরোর বাম্পার উৎপাদনের আশা করছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই পাকা ধান গোলায় ভরার জন্য কৃষানিরা ঘরে ঘরে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, সেচ ও বিদ্যুৎ সংকটের পরেও এবার লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিকদার বিল গ্রামের মাস্টার জানে আলম জানান, পানির অভাবে লক্ষ্যমাত্রা চাষাবাদ করতে ব্যর্থ হলেও ফলন ভাল হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদনে আশা করা হচ্ছে। তবে বোরো চাষাবাদে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। তবে সেচ ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে কৃষকদের দূভোর্গের কারণ হলেও তা কোন রকম কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে।
গতকাল রবিবার উখিয়ার সিকদার বিল, দরগাহবিল, টাইপালংসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আর ৭/৮ দিন পরে ধান কাটা শুরু হবে। দরগাহবিল গ্রামের কৃষক নাজির হোছন জানান, সে ২ একর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছে। সে কানি প্রতি ১শ’ আড়ি ধান উৎপাদনের আশা করছে। টাইপালং গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী জানান, বিগত বছরে তাদেরকে শ্রমিক সংকটের কারণে মাঠের পাকা ধান মাঠেই ঝরে পড়েছে। এবারও শ্রমিক সংকটের গ্যাড়াকলে পড়তে হলে পাকাধান ঘরে তোলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, চলতি মৌমুমে বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।