২৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

উখিয়ায় দশ টাকার চাল খায় লাখ টাকার মালিক

received_1817651781826388
উখিয়া উপজেলায় দশ টাকার চাল নিয়ে চালবাজি শুরু করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ ডিলাররা। এতে প্রকৃত গরিব,অসহায়,দুস্থরা চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দশ টাকার চাল যাচ্ছে লাখ টাকার ধনীদের বাড়িতে। আর এদিকে ঐ দৃশ্য দেখে গরিবের চোখে-মুখে হতাশার চাপ দেখা দিয়েছে। বাদ যাননি জনপ্রতিনিধিদের ১৪ কুটুম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে গবীর দুস্থদের জন্য গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে দশ টাকার চাল বিত্রিু কার্যত্রুম। ২২ জন ডিলারের মাধ্যমে একমাস দেরীতে শুরু হওয়া গবীরবান্ধব সরকারের এ কর্মসূচী নিয়ে উখিয়া উপজেলার সর্বত্র চলছে নয়ছয়। উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে মনখালী ৯ নং ওয়ার্ডের ডিলার আবু তাহের, বড় ইনানী এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের তারেক উল্লাহ, রতœপালং ইউনিয়নের প্রতিজন ডিলার,হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখার নুরুল আলম ও রাজাপালং ইউনিয়নের দু,জন ডিলার তাদের আত্বীয় স্বজনদেরকে তালিকায় অন্তভুক্ত করেছেন। দশ টাকা চালের কার্ড পেয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আত্বীয় স্বজনরাও।এছাড়াও এমন দু,শতাধিক ব্যক্তি দশ টাকা পেয়েছেন যাদের প্রত্যেকের ৫ থেকে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। আছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। বিপরীতে রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরা গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক আব্দুস সবুর, রিকসাচালক আলাউদ্দীন, আব্দুস সালাম। খয়রাতি ও হরিনমারা গ্রামের আব্দুল আলীম, মনিরুল ইসলামসহ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ দশ টাকা দরের চালের কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এলাকাবাসী বলছেন,স্থানীয় মেম্বাররা চেহারা দেখে বেছে বেছে তাদের আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের লোকদের কার্ড দিয়েছেন। এক্ষেত্রে মেম্বাররা কার্ড প্রতি টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সবচেয়ে বেশী অভিযোগ রতœপালং ও জালিয়া পালং ইউনিয়নে। এ দুটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সুবিধামত লোককে টাকার বিনিময়ে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একঘরের মধ্যে দু,জনকেও কার্ড দেওয়ার নজির রয়েছে রতœপালং ইউনিয়নে। এমনকি কিছু এলাকার মেম্বারদের শাশুরবাড়ীর লোকদের নামেও কার্ড ইস্যু করা করেছে। রতœপালং ইউনিয়নে চালবাজির সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করছেন চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। তার নির্দেশেই মেম্বার ও ডিলাররা নয়ছয় করে দশ টাকার চালে চালবাজি করছেন। শুধু রতœপালং ইউনিয়ন নয়, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে এভাবে চলছে দশ টাকা দরের চাল নিয়ে চালবাজি। চাল নিয়ে চালবাজির পাশাপাশি ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। দশ টাকার চাল নিয়ে চালবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা উপ খাদ্য পরিদর্শক পলাশ পাল বলেন, কয়েকটি স্পট পরিদর্শন করে কিছু অভিযোগ আমরাও পেয়েছি, কিন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকা অনুয়ায়ী আমাদের কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। এলাকায় কে গরীব কে ধনী তা আমাদের জানান কথা নয়,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সপ্তাহে ৩ দিন শুত্রু, শনি ও মঙ্গলাবার দশ টাকার চাল বিক্রি করছে ডিলাররা। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।