২০ অক্টোবর, ২০২৫ | ৪ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৭ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

উখিয়াতে জমজমাট ক্রিকেট জুয়া


উখিয়া উপজেয়ার আনাচে-কানাচে ক্রিকেট খেলা নিয়ে চলে জমজমাট জুয়া। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বেকার যুবক, ব্যবসায়ীসহ দোকানের কর্মচারীরা জড়িয়ে পড়ছে জুয়ার নেশায়। নিঃস্ব হয়ে অনেক ব্যবসায়ী এবং যুবক এখন পলাতক।
বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, টি টোয়েন্টি আসর, এমনকি ঘরোয়া লীগ ও বাদ যাচ্ছে না জুয়াড়িদের কবল থেকে। শক্তিশালী দলের পক্ষে জয়-পরাজয়ের পাশাপাশি প্রতি ওভারে ওভারে ধরা হয় বাজি। এই জুয়ার শ্রুতে টাকার পাশাপাশি হারাচ্ছে নিজস্ব ব্যবহৃত জিনিসপত্রও। অনেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ধার-দেনা করে জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। পরে ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় নানান বিশৃংখল ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে আবার ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, কুতুপালং, বালুখালী, পালংখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে চিহ্নিত কয়েকজন জুয়াড়ীর মধ্যস্থতায় লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়। কয়েকটি শক্তিশালী জুয়াড়ী সিন্ডিকেট এইসব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উপজেলার কোটবাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকান, সেলুনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল থেকে জুয়া নিয়ন্ত্রণে করে জুয়াড়ী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ড্রাইভার এমনকি শ্রমজীবিও। এদিকে ক্রিকেট জুয়ায় মেতে হলদিয়ার ধুরুমখালী এলাকার যুবক আজাদ সব হারানোর পরও টাকা পরিশোধ করতে না পারায় জমি বন্ধক রেখে পরিবারের সদস্যরা থাকে উদ্ধার করে বলে জানান স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটবাজারের এন আলম শপিং কমপ্লেক্সের এক ব্যবসায়ী জানান, পার্শ্ববর্তী এক ব্যবসায়ী স্ট্যাম্প সহকারে টাকা নিয়ে ক্রিকেট জুয়ায় হারিয়ে এখন পলাতক রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়া ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র জানায়, লোভের ফাদে পড়ে নিজের সব টাকা হারিয়েছি। এমনকি পরিবারের জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছি জুয়ার কারণে। ক্রিকেট জুয়া এমন এক মারাতœক জিনিস টাকা হারিয়ে ফেললে পাওয়ার আশায় আবারো জড়িয়ে একেবারে সব শেষ হয়ে যায়।
স্থানীয় এনজিও হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম জানান, ক্রিকেট জুয়ায় সব পেশার মানুষ জড়িয়ে পড়ায় বেড়ে যাচ্ছে নানান বিশৃঙ্খল ঘটনার। জুয়ার নেশায় পারিবারিক সহিংসতা, নির্যাতনও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবিলম্বে ক্রিকেট জুয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।