৪ মে, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

উখিয়াজুড়ে সৌর বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের বাতি নষ্ঠ : রক্ষণাবেক্ষণের জোর দাবী


উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক ও এলাকায় বাস্তবায়িত সৌর বিদ্যুতায়নে অধিকাংশ বাতির কার্যক্ষমতা কমে ইতিমধ্যে অনেক বাতি নষ্ট হয়ে গেছে। ইলেক্ট্রিসিটি ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে আলোর বাল্বগুলো প্রশংসিত হওয়া উদ্যোগটির বাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হতাশ হতে দেখা গেছে সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উখিয়া সদর, মরিচ্যা, কোটবাজার, সোনারপাড়া, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী বাজারের অধিকাংশ সৌর বাতি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক বাতির আলো কমে গেছে। সৌর প্যানেলের আলোয় আলোকিত স্থান গুলো আবারো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। জানা যায়, কাজের বিনিময়ে টাকা কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অধীনে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ে বাস্তবায়িত প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উপজেলার উখিয়া সদর, মরিচ্যা, কোটবাজার, সোনারপাড়া, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী বাজারসহ বেশ কিছু সড়ক ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সৌর বাতি স্থাপন করা হয়। প্রত্যেকটি বাল্ববের জন্য জিয়া এলুমোনিয়াম পাইপ ছাড়াও প্রতিটিতে এলইডি বাল্ব, প্রায় ৬হাজার এম্পিয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারী ও একটি করে সৌর প্যানেল রয়েছে।
স্থানীয়রা মতে, উখিয়ায় হাটবাজার, স্টেশনসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান সন্ধ্যার পর অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকত সেসব স্থানে অটোমেটিক জ্বলে উঠছে সৌর বিদ্যুতের লাইট। এছাড়াও সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প সফল হওয়ার প্রেক্ষিতে এতদাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ ভোগান্তি থেকে অনেকটা রেহায় পেয়ে সাময়িক স্বাচ্ছন্দ্যে দৈনন্দিন জীবন যাপনে সক্ষম হয়েছে। তারা এটিকে সরকারের দৃষ্টি নন্দন উদ্যেগ বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে সম্প্রতি বাতি গুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং অধিকাংশ বাতির কার্যক্ষমতা কমে গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সৌর বিদ্যুতায়নে আলোর পুরো উখিয়া উপজেলাকে আলোকিত করে তোলেছিল। এছাড়াও আলোর কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু বাতি গুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা জানান, অনেক সৌর প্যানেলে ময়লা জমে আলো কমে গেছে এবং কিছু বাতির বাল্ব নষ্ট হয়ে গেলেও সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
স্থানীয় কোটবাজারে ফুটপাত ব্যবসায়ী আলম জানান, উখিয়া জুড়ে সরকারের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগের ফলে আমাদের মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে বিদ্যুতের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয় নি। ইদানীং বাতি গুলো নষ্ট হওয়ায় আবারো লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগতে হচ্ছে।
মরিচ্যা বাজারের পালং মেডিসিনের প্রোপাইটার ডাক্তার কামরান পাশা বলেন, মরিচ্যা বাজারের প্রতি মানুষ সৌর বিদ্যুতের সুফল ভোগ করছে। তবে কিছু বাতি ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।
উখিয়া সদরের কক্সবাজার সরকারী কলেজের বিবিএয়ের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভাগীয় শহরের এবং জেলার মত করে উখিয়া উপজেলার ষ্টেশন আলোকিত হয়েছিল। আলোকিত উখিয়া আবারো অন্ধকারাছন্ন হওয়ায় সৌর বাতির আলোর রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী।
উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন জানান, উখিয়া জুড়ে সৌর বিদ্যুতায়নে প্রকল্পটি সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সৌর বিদ্যুতের আলোতে পুরো উখিয়া আলোকিত হয়েছে। তবে কিছু বাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।