১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মোহাম্মদ সোহেল সিকদার রানাঃ

উখিয়ার সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী নজরুল এর পরিচয় ব্যবহার করে মোবাইলে মনোয়ারা নামের এক বিধবা ভাতাভোগীর সরকারী অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকালে মনোয়ারা নামের এক ভাতাভোগী কে (+8801856285369) রবি অপারেটরের নাম্বার ব্যবহার করে মোবাইলে কল দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম নামীয় পরিচয় দিয়ে বলেন, “আপনার নামে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে ২৫কেজি চাল,৫কেজি সয়াবিন তেল,২কেজি ছোলা, ২কেজি মসুরের ডাল, ২কেজি চিনি আসছে যা আপনি বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন”
এছাড়াও সরকারি আরও বিভিন্ন সেবার প্রলোভন দেখিয়ে বলা হয়, আপনার মোবাইলে একটি ৬ ডিজিটের এসএমএস যাচ্ছে ওই ৬ডিজিটের নাম্বারটি একটু বলেন সরকারী সেবাগুলো গ্রহণ করার জন্য আপনার টোকেন কনফার্ম করতে হবে”
পরবর্তীতে গ্রামের বিধবা মনোয়ারা বেগম প্রতারক চক্রের দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় (OTP) দিতে বাধ্য হয় সাথে সাথে অসহায় মনোয়ারা বেগমের একাউন্ট প্রতারক চক্র নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং গায়েব হয়ে যায় ১৬০০ টাকা।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম জানান, যে নাম্বারটি কল দিয়েছে সে নাম্বার টা আমার নই, এবং সেই কন্ঠ (ভয়েস) টা ও আমার না, এবংআমার পরিচয় দেওয়া লোকটি প্রতারক চক্রের কেউ হতে পারে। আমরা ভাতাভোগী দের প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করে থাকি।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আল-মাহমুদ হোসেন জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য’রা আমাদের সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম পরিচয় ব্যহার করে তারা নানাভাবে সহজ সরল ভাতাভোগী’দের নানা প্রলোভন দেখিয়ে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আমারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করে সতর্ক করে থাকি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মচারীর নাম ব্যবহার করে যোগাযোগ করলে যেন সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করে এবং গোপনীয় (OTP) কেউকে না দেয়ার অনুরোধ করি। উপকারভোগীদের তথ্য প্রতারক চক্রের হাতে পৌঁছে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা আল মাহমুদ জানান, এটি হচ্ছে টেকনিক্যাল বিষয়, এটা আমাদের জানার সুযোগ নাই, তাদের কাছে কীভাবে গেছে, আপনি তাদের ভাষা গুলো বুঝেন যে কোন এলাকার ভাষা। এগুলো নিয়ে ভাতাভোগী’দের সতর্ক করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার সুযোগ নেই। কারণ এগুলো নিয়ে সারাদেশে প্রতারক চক্রের সদস্যরা টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করবেন বলেও জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।