৭ মে, ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন

ঈদগাঁওয়ে আহলে সুন্নতের কর্মী জনতার রোষানলে, পুলিশের ফাঁকা গুলি

index
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ঈমাম হাফেজ মাও. জহিরুল ইসলামের সাথে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অহেতুক তর্কাতর্কীতে জড়িত যুবক প্রকাশ্য মা চেয়েও জনতার রোষানল থেকে মুক্তি পায় নি। উত্তেজিত জনতা তাকে লাথি, কিল, ঘুষি ও জুতা নিপে করতে থাকলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ঁেছাড়ে তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। তাবিজ, দোয়া দেয়াকে ‘শিরক’ হিসেবে উল্লেখ করাসহ ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে বিরূপ মাব্য করায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ৮ মার্চ দুপুর ২ টায় বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সংগঠিত ঘটনা চলাকালে মুসল্লীসহ শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ইসলামাবাদ তেতুলতলীর দারুস সালাম একাডেমীর শিক দাবীদার ও আহলে হাদিসের সক্রীয় কর্মী মোহাম্মদ তৈয়ব, কয়েকদিন আগে ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম হাফেজ মাও. জহিরুল ইসলামের সাথে মসজিদের দ্বিতীয় তলাস্থ তাঁর রুমে গিয়ে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তর্কাতর্কীতে জড়িয়ে পড়ে। খতিব তার পরিচয় ও শিাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার এ বিষয়ে হক্কানী আলেম-ওলামাসহ তার সাথে কথা বলার সময় দেন। যথাসময়ে যুবকটি আজ রোববার দুপুরে মসজিদে এসে খতিবের রুমে গিয়ে তাবিজ, দোয়া ও ঝাঁড় ফুঁক সম্পর্কে আবারও জানতে চায়। যুবকটির কথাবার্তা ও বেশ-ভূঁষায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে খতিব আবারো তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানতে চান। এ সময় যুবকটি হাদিসের বাংলা অনুবাদের একটি কপি দেখিয়ে তাবিজ, দোয়া করাকে ‘শিরক’ হিসেবে মাব্য করে। বিষয়টিকে ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত বিবেচনা করে খতিব তাঁর উপরেে প যান। এ সময় মসজিদে উপস্থিত সাধারণ মুসল্লীরা খতিবের সাথে যুবকের এ তর্কাতর্কী ও তার অযৌক্তিক কথাবার্তা শুনে তাকে মসজিদের ২য় তলার বারান্দায় নিয়ে তালাবদ্ধ করেন। অপ্রীতিকর এ খবরটি ছাউর হলে মুসল্লী-সাধারণ জনতা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমবেত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ, সাংবাদিক ও সচেতন মহলের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত যুবক তৈয়ব তাঁর বিরূপ মাব্যের জন্য উপস্থিত লোকজনের কাছে  প্রকাশ্য মা প্রার্থনা করে। এতেও প্তি জনগণকে সামলানো যায় নি। পুলিশ পাহারায় যুবকটিকে যখন মসজিদ থেকে বের করে আনা হচ্ছিল তখল উপস্থিত ধর্মপ্রাণ লোকজন তাকে জুতা নিপে করে। তাঁকে চর্তুদিক থেকে লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকেন তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অসহায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে তাকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে তৈয়ব জানায়, সে ঈমান-আকীদা ভিত্তিক সংগঠন ‘আহলে হাদিসে’র অনুসারী ও সক্রিয় কর্মী। সে তার এলাকায় মাদ্রাসায় শিকতার সাথে সম্পৃক্ত মর্মে দাবী করে। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাও. জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত যুবক অহেতুক তাঁকে সহ যারা ইসলামসম্মত তাবিজ-দোয়ার কাজ করে সাধারণ মানুষের কল্যাণ করেন তাদেরকে ‘মুশরিক’(?) হিসেবে আখ্যা দেয়ায় উপস্থিত আলেম-ওলামা ও মুসল্লিরা তার উপরেে প যান। স্থানীয় আলেমে দ্বীন হাফেজ আবদুর রহিম জানান, বিরাজমান ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের হীন উদ্দেশ্যে বহিরাগত এ যুবকটি পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। ইসলামী ছাত্র মজলিসের জেলা সভাপতি ইমরান উদ্দীন দাবী করেন, উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ যুবকটির সাংগ-পাঙ্গরা এলাকার ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সুনামকে ুন্নের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, াহলে হাদীসের ব্যানারে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত বৃহত্তর ঈদগাঁওতে একটি অপরিচিত ধর্মীয় সংগঠন তাদের ল্য-উদ্দেশ্য ও মতাদর্শ প্রচারে লিপ্ত। সংগঠনটির তৎপরতায় ইতোমধ্যে স্থানীয় অনেক নামী-দামী পরিবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এর ল-উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে সম্পৃত্ত হয়ে পড়েছে। যার বহি: প্রকাশ ঘটে দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় তাদের আলাদা কর্মকান্ড দেখে। শোনা গেছে ইসলামের প্রমাণসিদ্ধ চার মাযহাব তথা শাফেয়ী, হানাফী, হাম্বলী, মালিকীসহ কোনটির অনুসারী নহে। তবে এ ব্যাপারে তাদের কোন বক্তব্য জানা সম্ভব হয় নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।