২১ আগস্ট, ২০২৫ | ৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৬ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ঈদ বাজারে সক্রিয় প্রতারক চক্র


মার্কেটে যাবেন, শপিং করবেন, পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে বের হয়েছেন? সাবধান, আপনার আশেপাশেই ঘুরছে পকেটমার ও ছিনতাইকারী। ঈদকে সামনে রেখে শহরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। বিভিন্ন শপিং সেন্টার ও জনাকীর্ণ এলাকাগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। জানা যায়, শহরের এ.ছালাম মার্কেট, ফিরোজ শপিং কমপ্লেক্স, আপন টাওয়ার, গুলজার শপিং কমপ্লেক্স, সমবায় সুপার মার্কেট, পৌরসভা মার্কেট, কোরালরীফ, নিউ মার্কেট, ফজল মার্কেট, সী-কুইন মার্কেটসহ বিভিন্ন স্পটে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। কাঙ্খিত পোশাক নিয়ে বিক্রেতাকে টাকা দিয়ে গিয়ে অনেক ক্রেতা হতভম্ব। কারণ অনেক আগেই পকেটমার তার টাকাসহ মোবাইল সেট নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। গতকাল বুধবার পুরাতন পান বাজার রোডের হকার মার্কেটে এক মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে পালানোর সময় আদর্শ গ্রাম এলাকার আজহারের পুত্র ছিনতাইকারী ও পকেটমার নাসিরকে ধরে ফেলে জনতার। এসময় ওই মহিলার মোবাইল সেট তার অপর সঙ্গী নিয়ে সটকে পড়ে। পরে কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
জানা যায়, পুলিশের তালিকা অনুযায়ী শহরে এক হাজারের বেশি ছিনতাইকারী রয়েছে। এসব ছিনতাইকারী ঈদ বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের কাছে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব দিয়েও হতাহত শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ছিনতাইকারীরা শত শত মানুষের সামনে চোখের পলকে অস্ত্র ঠেকিয়ে, ছুরি কিংবা ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে ছো মেরে নিয়ে যাচ্ছে টাকার ব্যাগ, স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। কোনো কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা হাতেনাতে গ্রেফতার হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী চক্র পার পেয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন আগে কোরাল রীফের সামনে লিংকরোড থেকে শফিং করতে আসে কয়েকজন মহিলা বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেয়। মঙ্গলবার সমবায় সুপার মার্কেটের সামনে আরেক ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ব্যবসায়ীরা। ঈদ উপলক্ষে পুলিশ মার্কেট শপিংমল কেন্দ্রিক টহল ও সাদা পোশাকে অবস্থান বাড়ালেও রাস্তাঘাটে অপেক্ষাকৃত নির্জন সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ ঘটছে। চলতি মাসে বড় বাজার, বাজার ঘাটা, বার্মিজ মার্কেট ও ফুলবাগ সড়ক, গোলদিঘির পাড়, বৌদ্ধ মন্দির এলাকা, হাসপাতাল সড়ক, সার্কিট হাউস রোড, হোটেল-মোটেল জোন ও চাউল বাজার এলাকায় বেশকয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি রণজিত বড়–য়া জানান, রমজান শুরুর আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু পরিকল্পনার নেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে ছিনতাই রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মার্কেটে ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে। টহল জোরদার করা হয়েছে। ছিনতাইকারীদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযানও চলছে। এ পর্যন্ত ছিনতাই নিয়ে কোন অভিযোগও করা হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।