৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

ইয়াবা কারবারী করে গাড়ীর হেলপার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক দেলোয়ার

মাত্র বছর দুয়েক আগে ছিল গাড়ীর হেলপার। কিছুদিন সিএনজি চালাতেও দেখা গেছে তাকে। কিন্ত হঠাৎ ভাগ্য পরিবর্তন তার! এখন সে একাধিক গাড়ি বাড়ী সহ বিশাল সম্পদের মালিক। এককথায় বিস্ময়কর উত্থান। ২ বছরের ব্যবধানে তার রয়েছে উখিয়া উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা কোটবাজারে আল-মামুন নামের বিশাল মোটর পার্টসের দোকান, ফজল মার্কেটের নিচ তলায় রয়েছে সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তা বলয়ে গড়া ভি,আই,পি কালেকশন নামক ফ্যাশনেবল হাউস। অরিজিন হাসপাতালে নিচে রয়েছে চায়ের দোকান। এসবের ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সে লোক চক্ষুর আড়ালে দেশের আনাচে-কানাচে পৌছে দিচ্ছে মরননেশা ইয়াবা। বলছিলাম, পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গড়ফাদার হিজলিয়া তেলিপাড়া গ্রামের সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়া বাবুলের ভাই দেলোয়ারের কথা। গ্রেফতার হওয়া বাবুলের পুরো ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এখন এই দেলোয়ারের হাতে। ইয়াবা বানিজ্য নির্বিঘেœ্ন চালিয়ে নিতে সে ম্যানেজ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কয়েক কর্মকর্তা সহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২/৩ বছর পূর্বেও উখিয়া উপজেলার হিজলিয়া এলাকার দেলোয়ার জিপ (চান্দের গাড়ী)’র হেলপার ছিল। এরপর কিছুদিন সিএনজি চালিয়েছে সে। কিন্ত দু’বছরের ব্যবধানে সে বনে গেছে অগাদ সম্পদের মালিক। হিজলিয়া এলাকার দুদুমিয়ার মতে,দু,ভাই বাবুল ও দেলোয়ারের উত্থানটা বিস্ময়কর,এলাকায় সবাই জানে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে তারা এ সম্পদ অর্জন করেছে। তাদের ৩ তলা বাড়ীতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব জিনিস পত্র, সিসি ক্যামরা দিয়ে নিরাপত্তায় ঘেরা বাড়িটি গড়তে তারা কোটি টাকা ব্যায় করেছে। এদের মধ্যে ইয়াবা বাবুল একাধিক বার আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে দেলোয়ার। সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে বাবুল এখন জেলে রয়েছে। তার অবর্তমানে পুরো ইয়াবা বানিজ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন দেলোয়ারের হাতে। বিশেষ করে কোটবাজারে পার্টসের দোকান ও ভিআইপি কালেকশন এবং চায়ের দোকানে বসে দেলোয়ার ইয়াবার যাবতীয় কলকাঠি নাড়াচ্ছে। এভাবে প্রয় প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে গেলেও একবারও তাকে প্রশাসনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয়নি। কারন সে ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রভাবশালী মহলকে। এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার করে দেলোয়ারের দোকান দু,টিতে সবসময় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও উখিয়া থানার ক্যাশিয়ার আমিনকে দেখা যায়। সবকিছু ম্যানেজ থাকায় নিরবেই বাঁধাহীন ভাবে চলছে দেলোয়ারের ইয়াবা বানিজ্য।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নই। তবে সবসময় বিভিন্ন সভা,সমাবেশ ও সংগঠনের কথা বলে স্থানীয় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ছাত্রলীগ আমার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। ব্যবসার কথা চিন্তা করে আমি তাদের চাঁদাও দিতাম। পরবর্তীতে এভাবে তাদের চাহিদামত অতিরিক্ত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে ইয়াবা বানিজ্য সহ বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।