২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

ইয়াবা কারবারী করে গাড়ীর হেলপার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক দেলোয়ার

মাত্র বছর দুয়েক আগে ছিল গাড়ীর হেলপার। কিছুদিন সিএনজি চালাতেও দেখা গেছে তাকে। কিন্ত হঠাৎ ভাগ্য পরিবর্তন তার! এখন সে একাধিক গাড়ি বাড়ী সহ বিশাল সম্পদের মালিক। এককথায় বিস্ময়কর উত্থান। ২ বছরের ব্যবধানে তার রয়েছে উখিয়া উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা কোটবাজারে আল-মামুন নামের বিশাল মোটর পার্টসের দোকান, ফজল মার্কেটের নিচ তলায় রয়েছে সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তা বলয়ে গড়া ভি,আই,পি কালেকশন নামক ফ্যাশনেবল হাউস। অরিজিন হাসপাতালে নিচে রয়েছে চায়ের দোকান। এসবের ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সে লোক চক্ষুর আড়ালে দেশের আনাচে-কানাচে পৌছে দিচ্ছে মরননেশা ইয়াবা। বলছিলাম, পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গড়ফাদার হিজলিয়া তেলিপাড়া গ্রামের সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়া বাবুলের ভাই দেলোয়ারের কথা। গ্রেফতার হওয়া বাবুলের পুরো ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এখন এই দেলোয়ারের হাতে। ইয়াবা বানিজ্য নির্বিঘেœ্ন চালিয়ে নিতে সে ম্যানেজ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কয়েক কর্মকর্তা সহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২/৩ বছর পূর্বেও উখিয়া উপজেলার হিজলিয়া এলাকার দেলোয়ার জিপ (চান্দের গাড়ী)’র হেলপার ছিল। এরপর কিছুদিন সিএনজি চালিয়েছে সে। কিন্ত দু’বছরের ব্যবধানে সে বনে গেছে অগাদ সম্পদের মালিক। হিজলিয়া এলাকার দুদুমিয়ার মতে,দু,ভাই বাবুল ও দেলোয়ারের উত্থানটা বিস্ময়কর,এলাকায় সবাই জানে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে তারা এ সম্পদ অর্জন করেছে। তাদের ৩ তলা বাড়ীতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব জিনিস পত্র, সিসি ক্যামরা দিয়ে নিরাপত্তায় ঘেরা বাড়িটি গড়তে তারা কোটি টাকা ব্যায় করেছে। এদের মধ্যে ইয়াবা বাবুল একাধিক বার আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে দেলোয়ার। সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে বাবুল এখন জেলে রয়েছে। তার অবর্তমানে পুরো ইয়াবা বানিজ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন দেলোয়ারের হাতে। বিশেষ করে কোটবাজারে পার্টসের দোকান ও ভিআইপি কালেকশন এবং চায়ের দোকানে বসে দেলোয়ার ইয়াবার যাবতীয় কলকাঠি নাড়াচ্ছে। এভাবে প্রয় প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে গেলেও একবারও তাকে প্রশাসনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয়নি। কারন সে ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রভাবশালী মহলকে। এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার করে দেলোয়ারের দোকান দু,টিতে সবসময় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও উখিয়া থানার ক্যাশিয়ার আমিনকে দেখা যায়। সবকিছু ম্যানেজ থাকায় নিরবেই বাঁধাহীন ভাবে চলছে দেলোয়ারের ইয়াবা বানিজ্য।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নই। তবে সবসময় বিভিন্ন সভা,সমাবেশ ও সংগঠনের কথা বলে স্থানীয় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ছাত্রলীগ আমার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। ব্যবসার কথা চিন্তা করে আমি তাদের চাঁদাও দিতাম। পরবর্তীতে এভাবে তাদের চাহিদামত অতিরিক্ত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে ইয়াবা বানিজ্য সহ বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।