৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ

আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাগলির বিল গ্রামে ইয়াবা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় শাহ আলমের ছেলে কথিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমরানের ২০ হাজার পিস ইয়াবা গত ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় তিন যুবক লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযুক্ত যুবকরা হলেন রামুর খুনিয়া পালংয়ের রাবেতা এলাকার রিজভী (২০), হলদিয়া পালংয়ের পশ্চিম হলদিয়া জাফর আলম এর ছেলে ইমরুল (১৮) ও তার সহযোগী হলদিয়ার জামবাগান এলাকার ইলিয়াস (প্রঃ ভান্ডারী) এর ছেলে বাবু (১৯)। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সেদিন সন্ধ্যায় ইমরান একটি ইজিবাইক (মিনি টমটম) করে ইয়াবার চালান বহন করে রাবার ড্রাম এলাকা হয়ে খুনিয়া পালংয়ের রাবেতা এলাকায় যান। সেখানে তিন যুবক তাকে আটকে ইয়াবা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইমরান ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং তার নেতৃত্বে ৫ থেকে ১০ জনের একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। তরুণদের ব্যবহার করে ইয়াবা বহনের মাধ্যমে এলাকায় মাদকের ভয়াবহ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।

তথ্য বলছে,ইয়াবার মুল মালিক ইমরানের নামে রয়েছে মাদক মামলা কয়েকবার জেল ও খেটেছেন ইয়াবাসহ আটক হয়ে।

তবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, লুট হওয়া ইয়াবা নিয়ে পরবর্তীতে রফাদফা হয়। সূত্র মতে, মালিক ইমরান প্রায় ৮ হাজার পিস ইয়াবা ফেরত পান, বিচার-সালিশের আয়োজকরা ৪ হাজার ভাগ পান, বাকি ৮ হাজার ইয়াবা যারা লুট করেছিল তারা সরিয়ে নেয়। ফলে পুরো ২০ হাজার ইয়াবার চালান উদ্ধার হয়নি।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, “ইয়াবার চালান উদ্ধারে অভিযান চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এ সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে, অন্যথায় এলাকায় মাদকের ভয়াল থাবা আরও বিস্তার লাভ করবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।