১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

মাদক বিরোধী অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা খুন

আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ সংগঠনটির ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
খুনের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করার পর সোমবার বান্দরবানের মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এই আদেশ জারি করেন।
এর আগে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘তদন্ত শেষে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
এরআগে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নাম আলোনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে রাখা হয়নি। যদিও আলোচনায় ছিলো আতাউল্লাহর নেতৃত্বে মুহিব্বুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই প্রথম কোন আলোচিত মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামী হিসেবে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলো আরসা। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরী করে অস্ত্র তৈরীর কারখানা ও গোপন আস্তানা করেছিলো সংগঠনটি। শূণ্যরেখার এই আস্তানায় বসে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার পরিচালনা করতেন আতাউল্লাহ। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিলো গোল্ডেন আরাকান নামে অত্যাধুনিক মানের একটি রেস্টুরেন্টও।
এই আস্তানায় মাদক মজুদের খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‍্যাব যৌথভাবে অভিযান চালায় ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর। অভিযানে গোয়েন্দা সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। অভিযোগ উঠে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও খালেদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছিলো তাকে।
এদিকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আরসার ঘাঁটিতে হামলা চালায় আরএসও। এসময় পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায় আরসার সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৩ জনকে আটক করেছে। বাকিদেরও আটকে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।