২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আরও দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গারা পাচ্ছে কলেরা টিকা

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ চতুর্থ রাউন্ডে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত ৩০ টি ক্যাম্পের আরো দুই লাখ ২৪ হাজার ৯৫১ জন রোহিঙ্গাকে খাওয়ানো হবে কলেরা টিকা। একই সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১ লাখ ৩ হাজার ৬০৫ জন স্থানীয় জনগোষ্ঠিকেও এই টিকা খাওয়ানো হবে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর থেকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ইউনিসেফের সহায়তায় এটি বাস্তবায়ন করছে কক্সবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে টিকা কর্মসূচির অবহিতকরণ সভায় এই তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মতিন। এই টিকাদান ক্যাম্পেইন আয়োজন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানান তিনি।

সভায় বক্তব্য আরও রাখেন, ইউনিসেফ’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মায়নুল হাসান, সিভিল কার্যালয়ে কো-অর্ডিনেটর ডা. জামশেদুল করিম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা উচাপ্রু মার্মা।

তথ্যমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতিপূর্বে তিনটি কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ কলেরা টিকা ক্যাম্পেইন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফ। ১৭ নভেম্বর শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে দুই লাখ ২৪ হাজার ৯৫১ জন রোহিঙ্গাকে কলেরা টিকা খাওয়ানো হবে। একই সাথে ক্যাম্পের পার্শবর্তী ‘ঝুঁকপূর্ণ’ এক লাখ তিন হাজার ৬০৫ জন স্থানীয় লোকজনকেও ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হয়েছে।’

এই রাউন্ডের কলেরা টিকা খাওয়াতে কাজ করবে ছয় সদস্যের ৭০টি দল। এছাড়া স্থানীয়দের খাওয়াতে কাজ কববে আরও ১২টি দল। ক্যাম্পে অবস্থিত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্থাপনাগুলোতে এই টিকা খাওয়ানো হবে। টিকার আওতায় আসবে ২০১৭ সালের পর আসা এক বছরের উপরের বয়সের রোহিঙ্গারা। অক্টোবর ২০১৭ সালের পূর্বে এসেছেন এদের ১২ থেকে ২৩ মাসের শিশুদের জন্য এক ডোজ এবং ক্যাম্প নিকটবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে একডোজ করে টিকা খাওয়ানো হবে। আর আগে যারা দুই ডোজ টিকা পেয়েছে তাদেরকে আর টিকা দেয়া হবে না।

এছাড়াও এক বছরের কোনো শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে না। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকা খাওয়ানো হবে। শুক্রবার বন্ধ থাকবে। যারা টিকার আওতায় আসবে তাদেরকে টোকেন দেয়া হবে। টোকেন ছাড়া কেউ টিকা পাবে না।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ বদ্ধপরিকর। সহযোগী সংস্থার সহযোগিতায় ইতিমধ্যে তিনটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে কলেরা টিকা খাওয়ানো হয়েছে। এবার চতুর্থ ক্যাম্পেইনে ২ লাখ ২৪ হাজার ৯৫১ জনকে খাওয়ানো হবে। সাথে স্থানীয় এক লাখ তিন হাজার ৬০৫ জনকে খাওয়ানো হবে। এই ক্যাম্পেইন সফল করতে আমরা সব প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি। তা বাস্তবায়ন করার জন্য গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।