২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

আমিষ খাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের : ভারতীয় আদালত

ভারতের উত্তর প্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধ নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তিরস্কার এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ‘আমিষ খাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের। রাজ্য সরকার তাতে নিষেধাজ্ঞা বসাতে পারে না। ’‌
শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মাংস ব্যবসায়ীদের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। সেখানে মাংস বিক্রেতাদের হয়ে সওয়াল করেন লখনউ ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক এপি শাহী এবং সঞ্জয় হারকৌলি।
তাঁরা বলেন, ‘‌মানুষ কী খাবেন আর কী খাবেন না, সেটা মানুষকেই ঠিক করতে দিন। আমিষ খাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাঁদের। রাজ্য সরকার তা কেড়ে নিতে পারে না। বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করছেন করুন। তবে বৈধ কসাইখানাগুলি কী দোষ করেছে?‌ লাইসেন্সের পুননর্বীকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে কেন?‌ নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদেরই বা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না কেন?‌ এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না রাজ্য সরকার। ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আবেদনকারীদের লাইসেন্স দিতে হবে। ’‌
আগামী ১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। তারধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে।
মার্চ মাসের বিধানসভা ভোটে জিতে উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। দায়িত্ব হাতে নিয়েই রাজ্যের সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। এতে বৈধ কসাইখানাগুলির ওপরও কোপ পড়ে। যোগী বাহিনীর দৌরাত্ম্যে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মাংস বিক্রেতারাও।
প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। মার্চ মাসের পর থেকে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদেরও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মাংস ব্যবসায়ীদের একাংশ। প্রায় দু’‌ডজন আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার তাঁদের ফরেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের পাশাপাশি নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন রাজ্য সরকারকে তাঁদেরও লাইসেন্স দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বহু কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছিল যোগী সরকার। আদালতের নির্দেশের পর সেই কসাইখানার মালিকরাও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্র : আজকাল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।