২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১২ পৌষ, ১৪৩২ | ৬ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

আমার স্বামী বাংলাদেশে নিরাপদ নয়: হাসিনা আহমেদ

index_80367

 

শিলং: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেছেন, তার স্বামী ‘খুবই অসুস্থ’। তার বাম কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না।

বাংলাদেশে তার তার স্বামী ‘নিরাপদ নন’ বলেও মন্তব্য করেছেন হাসিনা আহেমদ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘আমার স্বামী বাংলাদেশে নিরাপদ নন। আমি তাকে সেখানে ফেরত নিতে চাই না। তার পরিবর্তে আইন অনুমোদন করলে আমি তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে চাই যেখানে তিনি বিগত অনেক বছর ধরে কার্ডিয়াক ও কিডনি সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

সোমবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে হাসিনা আহমেদ আরো বলেন, ‘আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। তার হার্টে ইতোমধ্যেই তিনটি স্টেন্ট পরানো হয়েছে। তার বাম কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। আমি বলছি না যে তিনি এখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছে না। কিন্তু সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল তার (রোগের) হিস্ট্রি ভালো জানে এবং গত ২০ বছর তিনি সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমি যদি তাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাই তবে তার কী হবে আমি জানি না।’

গত ১২ মে শিলং থেকে আটক হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ, যিনি ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র হিসেবে সাম্প্রতিক লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছিলেন। এর মধ্যেই উত্তরার একটি বাসা থেকে গত ১০ মার্চ নিখোঁজ হন তিনি।

হাসিনা আহেমদ অভিযোগ করেন নিরাপত্তা বাহিনী তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।

সাক্ষাৎকারে হাসিনা আহমেদ বলেন, ১০ মার্চের পর তার স্বামী কোথায় কি অবস্থায় ছিলেন তা তার জানা নেই।

‘ওই দিনগুলোতে তিনি কোথায় ছিলেন তা আমার জানা নেই।… আমি জানি না তিনি কিভাবে শিলংয়ে এলেন। তবে যাই হোক আমি খুশি যে তিনি এখানে নিরাপদে আছেন এবং তার বেশ যত্ন নেয়া হচ্ছে।’

ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক সালাহ উদ্দিন এখন শিলংয়ের নেইগ্রিমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে সারাক্ষণ নজরদারিতে রাখছেন মেঘালয় পুলিশের সশস্ত্র সদস্যরা।

হাসিনা আহমেদের করা জামিন আবেদন শুনানির পর শুক্রবার এখানকার একটি আদালত ২৯ মে পুলিশকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে হাসিনা আহমেদ আবারো বলেন যে, সালাহ উদ্দিনক যখন তুলে নেয়া হয় তখন সেখানে একটি সরকারি সংস্থার গাড়ি ছিল।

হাসিনা আহমেদ আরো বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর (সাক্ষাত চেয়ে) দু’বার আবেদন করেছিলাম কিন্তু তিনি সময় পাননি। …আমি আইজিপির দরজার কড়াও নেড়েছিলাম কিন্তু কোনো সাড়া আসেনি।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ৫৪ বছর বয়সী সালাহ উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী। বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়ার পর তিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং কক্সবাজার থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

পত্রিকাটি জানায়, গত কয়েক বছরে তার বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৩ সালে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।