১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

আ.লীগের চেয়ে শেখ হাসিনা বেশি জনপ্রিয়: ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগ দলের চেয়েও বেশি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা। তিনি তার পরিশ্রম ও কাজ দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। তার জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি। তার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত নেতাদের। বিভিন্ন বিশেষণে ভূষিত না হয়ে তাদের উচিত বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করা।’
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নাটোরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বর্তমানে দলীয় নেতারা ভাষণ দিয়েই জনগণকে খুশি করতে চায়, প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাততালি পেতে চায়।’ তবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করতে না পারলে হাততালির বদলে জনগণের গালি জুটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের এজেন্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের যত নেতা আছেন, তারা নেতা না হয়ে কর্মী হলে প্রধানমন্ত্রীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন সহজ হতো।’
শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশেরপ্রায় ১২ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন আর লোডশেডিং হয় না। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে বসে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাচ্ছেন। এ সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সন্তানের দূরদর্শী চিন্তার কারণে।’
বিএনপি জনগণের উন্নয়ন চায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে সবাই খুশি হলেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি। তারা ঘরে বসে আন্দোলনের হুমকি দেয় আর নালিশ করে। তারা ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’তে পরিণত হয়েছে। এর আগে তারা ক্ষমতায় থাকাকালে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নালিশের উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলার রায় আদালত দেবে। রায়ে তার সাজা হতে পারে, তিনি খালাসও পেতে পারেন। কিন্তু রায় হওয়ার আগেই বিএনপি নেতারা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তবে বোমার আন্দোলন ছাড়া রাস্তায় এসে আন্দোলন করার সাহস বিএনপির নেই।’ এসময় তিনি বিএনপির ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।