১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ২৭ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল

অবৈধ দখলে ইনানী সী-বীচ

ইনানী সী-বীচে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ঝুঁপড়ি দোকান।

 

অবৈধ জবরদখলকারীদের বেপরোয়া ঝুপড়ি দোকান তৈরি করে পসরা সাজিয়েছে ইনানী সী-বীচে। কতিপয় প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে প্রবেশ পথে অসংখ্য দোকানঘর বসানোর কারণে ইনানী বীচে বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকরা নানা বিড়ম্বনা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগ জেলা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্বহীনতার কারণে বালুকাময় এ বীচটি দিন দিন সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।

কক্সবাজারের অন্যতম বীচ হচ্ছে ইনানী সী-বীচ। সবুজ ঘেরা পাহাড় বেষ্টিত নীল জলরাশী পাথুরের বীচ নামের পরিচিত। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক ভ্রমন করতে আসে ইনানী বীচে। উখিয়া জাতীয় পাটির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো অভিযোগ করে বলেন, ইনানী বীচের প্রবেশ পথে অসংখ্য ঝুপড়ি দোকান বসানোর কারণে ভ্রমন করতে আসা পর্যটকদের সীমাহীন বিড়ম্বনা শিকার হতে হচ্ছে। বলতে গেলে ডাব ও চশমা বিক্রেতা প্রবেশ পথের মধ্যখানে ব্যবসা শুরু করেছে যা অন্তত্য দুঃখজনক।

সরে জমিন পরিদর্শণে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক অবৈধ ঝুপড়ি দোকান তৈরি করে ইনানী সী-বীচটি জবরদখল করে রেখেছে। গাড়ী নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কোন পার্কিং ব্যবস্থা নেই।

অভিযোগে প্রকাশ ট্যুরিস্ট পুলিশকে দৈনিক মাসোহারা দিয়ে এ সব ঝুপড়ি দোকানে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকায় ইজারা দিয়ে ইনানী বীচ থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করলেও একটি টাকাও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করেনি। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের গাড়ীর পার্কিং সহ ইনানী বীচে প্রবেশ পথ দিয়ে সাগরে যাওয়া বড়ই মুশকিল। ঢাকা গুলশানের বসবাসরত দম্পতি কাজী মঈনুল রহমান ও সানরা এ প্রতিবেদককে জানান ইনানী বীচটি দেখতে খুবই সুন্দর। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, প্রবেশ পথে ঝুপড়ি দোকান ও গাড়ীর কোন  পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের র্দুভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সুশীল সমাজের অভিমত ইনানী বীচের সৌন্দর্য রক্ষার্থে অবিলম্বে প্রবেশ পথে বসানো অবৈধ দোকান উচ্ছেদ জরুরী হয়ে পড়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।