১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ২৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

অনার্স ফাইনালে ২ যমজ বোনের অভাবনীয় সাফল্য

শাহেদ মিজান:
সদ্য প্রকাশিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স (বিবিএ) ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনী কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে দু’যমজ বোন। তারা হলেন, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম। সামিয়া তাবাস্সুমম সিজিপি-৩.৪৭ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান এবং তাহিয়া তারান্নুম সিজিপি-৩.৪১ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তারা এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেন। যমজ দু’বোনের এই অভাবনীয় ফলাফলে কক্সবাজার সরকার কলেজে ও তাদের পরিবারে এক খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম ২০১২-১৩ সেশনে কক্সবাজার সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রখর মেবাধী এই যমজ দু’বোন পড়ালেখায়ও অনেকটা সমানে থাকে। দু’জনই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অনার্সেও প্রতিটি বর্ষে তারা ধারাবাহিক কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অব্যাহত রাখে। তবে অনার্সে দু’জনের একই গ্রেড না পেলেও পয়েন্ট রয়েছে অনেকটা কাছাকাছি।

সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার আধুনগরে। তাদের বাবা সৌদি-আরব প্রবাসী নেজাম উদ্দীন ও মাতা নাসরিন সিরাজ। তারা বর্তমানে কক্সবাজার শহরের নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা দু’বোন যমজ হিসেবে সবকিছুতে দু’জনে এক রকম হতে চেষ্টা করি। আমাদের পোশাক থেকে শুরু করে পুরো লাইফস্টাইলই বলতে গেলে অবিকল। শিক্ষা ক্ষেত্রে এইচএসসি পর্যন্ত দু’জন সমানে সমান ছিলাম। তাইতো ওই দু’পরীক্ষাতেই দু’জনেই জিপিএ-৫ অর্জন করেছিলাম। তবে অর্নাসের ফলাফলে মাত্র কয়েক পয়েন্ট এদিক-ওদিক হয়েছে। এটাকে দূরত্ব বলা চলে না।’

তারা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড়। এমবিএ টা সম্পন্ন করে বিসিএস দেবো। আশা করি সেখানেও আমরা ভালো করবো। বিসিএস’র মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা আছে। অথবা ব্যাংকার হতে চাই।’

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যমজ সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছে। এটা শুধু তাদের জন্য নয়; আমাদের জন্যও অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের বিষয়। আমি তাদের ভবিষ্যৎ জীবন আরো উজ্জ্বল ও সুন্দর হওয়ার কামনা করছি।’

প্রসঙ্গত, সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার বাসিন্দা ডা. মীর সিরাজুল হক চৌধুরী এবং বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান একে এম ইকবাল বদরী ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরীর নাতনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।