১৭ জুন, ২০২৫ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২০ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘৪০০ মেয়ের ফোন কল রিসিভ করতে হয়েছে’

ক্রীড়া ডেস্কঃ সাদা চশমা পরা, দেখতে দার্শনিকের মতো পাকিস্তানের নতুন নায়ক ইনজামাম উল হকের ভাতিজা ইমাম উল হক। জাতীয় দলে অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দিয়েছেন। আর এর পর থেকেই সমানে তার মোবাইলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসছে একের পর এক কল, মেসেজ।

২২ বছর বয়সী এই তারকা জানান, ‘আমি সেঞ্চুরি করার পর থেকেই কল আর মেসেজে ভরে যাচ্ছে আমার মোবাইল ফোন। কম করে হলেও আমি ৪০০ মেয়ে ভক্তের কল রিসিভ করেছি। তারা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আমি মোবাইল আর ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।’

চলতি বছর মার্চে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে এসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ রান করার পরদিন দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে করেন ১২০ রান। ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির জন্য তখনই শিরোনামে এসেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম উল হক। তখন জানিয়েছিলেন, একটা সময় ক্রিকেটকে ‘ঘৃণা’ করতেন। রোদে ত্বক পুড়িয়ে ক্রিকেট খেলার কথা চিন্তাও করতেন না। তার পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে ছিল মডেলিং। সময় পেলে ডুবে থাকতেন ব্যাটমিন্টনেও। সেই খেলায় স্কুল চ্যাম্পিয়নও ছিলেন তিনি। কিন্তু ইনজামামের নিঃশ্বাস যার গায়ে লেগেছে-সে কি ক্রিকেটার না হয়ে পারে?

ক্রিকেটে আসার আরও একটা মজার কারণ আছে ইমামের। স্কুল জীবনে বেশ ‘ইনজামামময়’ ছিলেন। মানে প্রিয় চাচার শরীরটাও পেয়েছিলেন। তাই কোনো একদিন শুনলেন নিয়মিত ক্রিকেট খেললে মুটো হওয়া থেকে বাঁচা যাবে। তারপর ক্রিকেটে আসা, ক্রিকেটেই থাকা। ইনজামামের ভাতিজা হওয়ার যেমন লাভ আছে, তেমনি তার উল্টো পৃথিবীটাও দেখা হয়ে গেছে তার। জাতীয় দলেল প্রধান নির্বাচক যেহেতু ইনজি, তাই মিডিয়া সবসময় লিখেছিল, চাচার জন্যই দলে ইমাম। তবে সবকিছুর উত্তর দিয়েছেন জাতীয় দলে তিন ম্যাচ খেলে সাড়ে ৭৩ গড়ে রান তোলা ইমাম।

ইমামের উত্থান মূলত ২০১৪ এর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল তার। তারপর থেকে ঘরোয়া লীগের নিয়মিত পারফরমার ছিলেন। পরবর্তী স্টেশন হয় পাকিস্তান জাতীয় দল।

পাকিস্তানের দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে বিশ্বের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআই অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি স্পর্শ করেন ইমাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯৫ সালে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে এ তালিকায় নাম লেখান সেলিম এলাহী।

ইমাম জানান, ‘আমি আগে থেকেই কোনো টার্গেট নিয়ে খেলতে নামি নি। ভাবিনি সেঞ্চুরিটা আমার রেকর্ড বুকে ওঠে গেছে। যখন ব্যাট করে ড্রেসিং রুমে ফিরলাম তখন প্রথম অধিনায়কের (সরফরাজ আহমেদ) মুখ থেকেই এটা শুনেছি। পাকিস্তানের হয়ে এমন একটি রেকর্ড গড়তে পেরে আমি খুশি। যারা আমাকে এখনও অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।