১৯ আগস্ট, ২০২৫ | ৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৪ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

৩৬ লাখ পরিবারে নগদ সহায়তা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নিম্নআয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার এবং অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষক পরিবারে নগদ সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার (২ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
নগদ সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিকসহ কর্মহীন বিভিন্ন পেশার মানুষ পাচ্ছেন আড়াই হাজার টাকা করে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে এসব পরিবারের কাছে।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার প্রতি ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে। এ বাবদ সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯,৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়। এতে ১ লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়া কভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদেরকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচেনার সুপারিশ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হচ্ছে। ‌

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাইবাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ মে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদেরকে জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এবারের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তহবিল’-এ বরাদ্দ অর্থ থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১৪ এপ্রিল তারিখ থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্থস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মটর শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদেরকে পুনরায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রতি ২৫০০ টাকা করে প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।