১ মে, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

২০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি ফেরত পাঠাতে চায় যুক্তরাজ্য

প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠাতে চায় যুক্তরাজ্য। তবে এসব নাগরিকের বেশির ভাগকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে জোরালভাবে ব্রিটিশ সরকারের কাছে উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর লন্ডনবাংলার। সম্প্রতি বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেছেন, ব্রিটেনে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে রয়েছে। তাদেরকে জোর করে নয়, বরং মানবিক পদ্ধতিতে ফেরত পাঠাতে চায় ব্রিটেন। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্রিটেন যে ২০ হাজার বাংলাদেশিকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তার সাথে দ্বিমত পোষণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা ব্রিটেনে পড়তে গিয়ে কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে বিপদে পড়েছেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এসব শিক্ষার্থী ওই কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করত। এখন তাদেরকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কোনোভাবেই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দায়ী করা যাবে না। কেননা ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে ভিসা নিয়ে তারা বৈধভাবেই সে দেশে গেছেন। ভিসা নেওয়ার সময় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত ছিল না বা বিষয়টি তাদের জানা ছিল না; কিন্তু ব্রিটিশ হাইকমিশন নিশ্চয়ই যাচাই-বাছাই করে এসব শিক্ষার্থীকে ভিসা দিয়েছে। এখন পড়ালেখার মাঝখানে হঠাৎ করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করলে শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, কালো তালিকভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বাংলাদেশিদের ব্রিটেনে ভিন্ন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগ দিতে হবে। অথবা পুরো টিউশন ফি ফেরত দিয়ে ব্রিটিশ সরকারের ব্যবস্থায় তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশ সরকার জোরালভাবে বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের কাছে তুলে ধরবে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে আসার গণভোটের (ব্রেক্সিট) পর ব্রিটেন অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর নীতি অনুসরণ করছে। অভিবাসীরা ব্রিটিশদের কর্মক্ষেত্র সঙ্কুচিত করে ফেলছে, ব্রিটেনের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে ব্রেক্সিটের পক্ষের রাজনীতিকেরা এই অভিযোগ তুলে জনমতকে প্রভাবিত করেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে সাবেক সোভিয়েত ব্লকে থাকা অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে অভিবাসীদের দায়ী করা হয়। ইইউর কারণে এসব দেশের নাগরিকেরা অবাধে ব্রিটেনে আসতে পারছে। গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এ দিকে ব্রেক্সিটের পর একই ইস্যুতে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপের কয়েকটি দেশেও এখন উগ্র জাতীয়তাবাদ ও অভিবাসনবিরোধী মনোভাব চাঙ্গা হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।