৩ মে, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

২০০ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে মমতা সরকার

দালালের ফাঁদে পড়ে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পরই কখনো বিএসএফ কখনো  পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। হাত বদল হয়ে কারো আবার ঠাঁই হয়েছে নিষিদ্ধ পল্লীতে। পরে তাদেরকেই উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেয়া হয় রাজ্যের বিভিন্ন সেফ হোমে।

গত চার বছর ধরে এই সেফ হোসগুলিতেই অবস্থান করছেন বিভিন্ন সময়ে পাচার হয়ে যাওয়া প্রায় দুই শতাধিক নারী। এবার নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে এই নারীরা। তবে সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারা নিজেরাই।

রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের অভিমত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নারীরা বাংলাদেশের ঠিকানা বলতে পারছেন না নয়তো বাবা-মায়ের সন্ধান দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই এখনো হোমেই কাটাতে হচ্ছে এই বাংলাদেশি নারীদের।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব রোশনি সেন  জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে প্রায় ২২০ জন পাচারকৃত নারীকে বিভিন্ন হোমে রাখা হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যদিও কিছু ঘটনা, আইনি জটিলতা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

পাচার হওয়া নারীদের প্রত্যর্পণের বিষয়টি দেখার জন্য তার নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ও গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফ, এনজিও, বাংলাদেশ দূতাবাস ও অন্যান্য এজেন্সিগুলির কর্মকর্তারাও প্রতিনিধিত্ব করছেন।

রোশনি সেন আরো জানান, গত পাঁচ বছরে এরকম প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারীরাই তাদের প্রকৃত ঠিকানা এবং বাবা-মায়ের নাম বলতে পারেননি। তবু আমরা এই প্রক্রিয়াটিকে সচল রেখে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।