২৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

২০০ ধর্ষণ ও ৫০০ জনকে হত্যার স্বীকারোক্তি এক আইএস জঙ্গির

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক জঙ্গি প্রায় পাঁচশ জনকে হত্যা এবং ২০০ নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা স্বীকার করে ইরাকে কুর্দি বাহিনীর হাতে বন্দি আইএস জঙ্গি আমর হুসেইন।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে হুসেইন জানিয়েছে, তার আমির বা আইএসের স্থানীয় নেতারা ইয়াজিদি সম্প্রদায়সহ অন্য নারীদের যত খুশি ধর্ষণ করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। হুসেইনের মতে, ‘এটা তরুণদের জন্য প্রয়োজন, এটা স্বাভাবিক।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও ইরাকি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর আইএস জঙ্গিরা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বহু নারীকে ধর্ষণ করে। আইএস ওই সম্প্রদায়ের অনেক নারীকে অপহরণ করে যৌনদাসী বানায় এবং ওই নারীদের পুরুষ আত্মীয়দের অনেককে হত্যা করে। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর আইএসের এই সহিংসতার বিষয়টি নিয়মিতভাবে বলে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

২০১৩ সালে আইএসে যোগ দেওয়া হুসেইন সাক্ষাৎকারে আরও বলেছে, ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যখন একের পর এক এলাকা দখল করে নেয় ওই সময়ে সে তাদের দখল করা এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইয়াজিদিসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্ষণ করতো।

হুসেইন আরও বলেছে, আইএসে যোগদানের পর সে প্রায় ৫০০ জনকে হত্যা করেছে। হুসেইনের স্বীকারোক্তি, ‘যাকে গুলি করা দরকার তাকে গুলি করেছি। যাকে শিরশ্ছেদ করা দরকার তাকে শিরশ্ছেদ করেছি… সাত, আট, ১০ জনকে এক সময়েই হত্যা করতাম। কখনও ৩০ বা ৪০ জনকেও। আমরা তাদের মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করতাম।’

সে আরও বলেছে, ‘আমি তাদের মরুভূমিতে বসিয়ে এবং চোখে কালো কাপড় বেঁধে মাথায় গুলি করতাম। এসব ছিল স্বাভাবিক ঘটনা।’

সাক্ষাৎকারে হুসেইনের মধ্যে অনুশোচনা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সে বলেছে, ‘আমার কাছে কোনও অর্থ ছিল না। কাজ ছিল না। কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ তা বলার কেউ ছিল না। আমার বন্ধু ছিল। কিন্তু কেউ আমাকে কোনও পরামর্শ দেয়নি।’

তবে এসব বক্তব্য রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।

গত অক্টোবরে কুর্দি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর থেকে হুসেইনকে জানালাবিহীন একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ২১।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।